রানু মণ্ডল এখন
জনপ্রিয়তার শিখরে। রানাঘাট স্টেশনে ভবঘুরে জীবন থেকে তিনি এখন বলিউডের প্লেব্যাক
সিঙ্গার। দু’মুঠো খাবারের
খোঁজে রানাঘাটের স্টেশনে গান গাইতেন তিনি। একদিন রানুর সেই গানের ভিডিও সোশ্যল
মিডিয়ায় পোস্ট করেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভবঘুরে
রানু মণ্ডলকে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। এরপর কলকাতা, কেরল, বাংলাদেশ এমনকী বলিউড থেকে গানের অফার আসতে শুরু গান গাওয়ার
জন্য। ইতিমধ্যে হিমেশ রেশমিয়ার পরবর্তী সিনেমাতে প্লেব্যাক করেছেন রানু। শোনা
যাচ্ছে, সলমন খানের দাবাং-থ্রিতেও প্লেব্যাক করতে
পারেন তিনি। যদিও এবিষয়ে দু’পক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জেনে নেওয়া যাক রানু
মণ্ডল সম্পর্কে পাঁচ তথ্য –
১) পুরো নাম হল রেণু রায়। পরে তিনি পরিচিত হন রানু মারিয়া মণ্ডল নামে। রানু ববি নামেও পরিচিত তিনি। কৃষ্ণনগরে জন্ম হয় রানু মণ্ডলের।
২) ছোটবেলা কাটে রানাঘাটে তাঁর মাসির বাড়িতে। খুব ছোট বয়সে মাকে হারিয়ে, রানু বড় হন তাঁর মাসির কাছেই। খানিকটা অবহেলায় বড় হলেও ছোট থেকেই গানের উপর এক টান ছিল তাঁর।
৩) মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাবলু মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় রানু মণ্ডলের। বিয়ের পর জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র মেয়ে স্বাতীর।
৪) কাজের খোঁজে স্বামী বাবলুর সঙ্গে মুম্বই গিয়েছিলেন রানু। সেখানে পানশালাতেও গান গাইতেন বলে জানা গিয়েছে।
৫) এছাড়া মুম্বইতে রানু কাজ করতেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তথা পরিচালক ফিরোজ খানের বাড়িতে। সম্প্রতি নবভারত টাইমসকে একটি সাক্ষাতকার একথা জানান রানু মণ্ডল। সেখানে ফিরোজ খান তাঁর ছেলে ফারদিন খান এবং ভাই সঞ্জয় খানের দেখভালের কাজ করতেন তিনি। তাঁদের ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে তাঁদের সময় মতো খাবার দেওয়া, রান্না করা, সব কাজই করতে রানু মণ্ডল।