বিয়ের পর সবার জীবনেই পরিবর্তন আসে। নুসরত সেলিবৃটি হলেও এক্ষেত্রে নিয়মের কোন ব্যাতিক্রম নেই। রঙ্গোলী ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর থেকে রঙ্গোলী পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রথম পুজো। খুশিতে ঝলমল করছে মুখ ঠিক পাশের বাড়ির মেয়েটির মত। আরক্ত মুখে জানালেন ‘‘অঞ্জলি তো নিয়ম করে প্রত্যেক বার দিই। এ বার এই প্রথম আমি আর নিখিল একসঙ্গে অঞ্জলি দেব!’’
আরও যোগ করলেন “আমি এখন রঙ্গোলি পরিবারের এক জন। তাই এ বার পুজোয় ছবির প্রসঙ্গ যখন এল ভাবলাম আমি আমার পরিবারকে নিয়েই শুট করি। তবেই তো পূর্ণতা আসবে’’
বরের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত গলায় বললেন ‘‘নিখিল যে কাজটাই করে ভীষণ গুছিয়ে করে। শুটের জন্য ওর কাছে যা যা ব্রিফ ছিল ও সেটাকে সম্পূর্ণ ফলো করে কাজটা করেছে। ও খুব বাধ্য’’
কে কার কথা বেশি শোনের উত্তরে হেসে ফেলে বলেন ‘‘এই রে, এই বিষয়টা খুব গোলমেলে। বাড়িতে এত ব্যালান্স করে চলা যায় না। আর আমি খুব বেশি এই বিষয়ে বলতে পারব না। তবে একটা রেফারেন্স দিই। আমি ছোট থেকেই দেখেছি আমাদের বাড়িতে মা যা বলত সেটাই হত। আমি যে ভাবে মানুষ, যা ছোট থেকে দেখেছি সেটাই তো হবে! তাই না? আমার ব্যাপারটা আর বললাম না!’’
আবেগঘন সুরে জানালেন ‘‘তবে নিখিলের মধ্যে যে অভিনয়ের ব্যাপার আছে সেটা এতদিনে জানলাম!’’
পুজোতে তিনি সাবেকি সাজেই থাকতে পছন্দ করেন। তাঁর কথায় ‘‘সারা বছর তো আমরা ডিজাইনারদের পোশাক পরি। মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ।কিন্তু বাঙালির পুজো তাঁতের শাড়ি ছাড়া চলে? আমার পুজোর সাজ মানেই সোনার গয়না। খোঁপায় মালা। আর অবশ্যই ‘রঙ্গোলি’-র শাড়ি।’’
উৎসাহের সুরে জানালেন
অষ্টমীর সকাল... স্নান করে নুসরত পরবেন বাংলার তাঁতের শাড়ি! আর সন্ধেবেলা কনট্রাস্ট পাড়ের কাঞ্জিভরম সিল্ক।
‘‘সব প্রদেশের দেশজ উইভিংকে ‘রঙ্গোলি’ ধরে রাখার চেষ্টা করছে।’’
বহু জায়গায় নেমন্ত্রন থাকলেও বললেন ‘‘খুব একটা ঠাকুর দেখা হয় না। সময় পেলাম তো সুরুচি সঙ্ঘে চলে গেলাম। আর মিমির কমপ্লেক্সে আমাদের সকলের একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া থাকে। সেটা মিস করি না আমরা। খুব সুন্দর করে সাজি আমরা সবাই। সাবেক সাজ। জমিয়ে আড্ডা হয়।’’