‘ইরাবতীর চুপকথা’র শুটিংয়ের অবসরে ঘুরতে গেলেন ইরাবতী। পুজোর ছুটিতে ভিয়েতনামে ঘুরে এলেন মনামি ঘোষ। দারুণ প্রকৃতি, মানুষজনের সুন্দর ব্যবহার আর সুস্বাদু খাবার খেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। ঘুরতে গিয়ে হল মজার অভিজ্ঞতাও। তা ঠিক কেমন?
মনামির কথায়: “সাপা পাহাড়ি জায়গা। ওখানে লোকজন ঘুরে ঘুরে আমাকে দেখছিল। আমাকে বোধহয় একটু থাই, একটু ভিয়েতনামি দেখতে। কিন্তু ওখানে তো ভিয়েতনামি মানুষে ভর্তি। তাই কারণটা এখনও আবিষ্কার করে উঠতে পারিনি। বহু লোক এসে আমার সঙ্গে ছবি তুলে গেল। একটা গ্রুপে দুটো ছেলে আর তিনটে মেয়ে। ছবি তুলল। যাওয়ার সময় একটা ছেলে ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বলল, ‘তুমি বিউটিফুল। সে জন্য ছবি তুললাম।’ হা হা হা... আমি তো বুদ্ধ দেখতে গিয়েছি। বুদ্ধ দেখার সঙ্গে সঙ্গে লোকেরা আবার আমাকেও দেখছে। এটা খুব মজা লেগেছে।”
আরও যোগ করলেন, “একটা জায়গায় রাস্তার উপর প্রায় সারারাত ধরে পার্টি হয়। সেখানে আমার পাশের মেয়েগুলো বার বার আমাকে দেখছে আর নানান কিছু বলছে। শেষে আমিই ওদের সঙ্গে একটা ছবি তুলে নিলাম।”
আর কী মজার বিষয় ঘটল? তিনি শেয়ার করলেন, “হ্যানয়-তে একটা জায়গায় সাইকেল ভ্যানে করে খুব সুন্দর ফুল বিক্রি হয়। ইনস্টাগ্রামে যত ট্রাভেল ব্লগার আছে সবাই ওই জায়গাটায় গিয়ে ছবি তোলে। আমিও তুলেছি। যখন ছবি তুলছি পাশ দিয়ে এক জন অন্য দেশের টুরিস্ট যাচ্ছে। সে চলে গেল, আবার ফিরে এসে আমাকে বলল, ‘আ ফ্লাওয়ার অ্যামং দ্য ফ্লাওয়ারস!’ (অনেক ফুলের মধ্যে দাঁড়িয়ে একটা ফুল।) হা হা... খুব ভাল লেগেছে।”
বোধহয় এরা সবাই আপনার কাজ দেখেছে! বেশ মজা পেলেন তিনি, “হা হা হা...। ওখানে মনামি ঘোষকে তো কেউ চেনে না। তা-ও আমাকে পছন্দ করছে দেখে খুব ভাল লেগেছে। ভাবছি ওখানেই আমার কেরিয়ার শুরু করব। হা হা হা...”
মনামি জানালেন হা লং বে-র অভিজ্ঞতাও, “জলের মাঝখানে ক্রুজের ভেতর বসে এত ভাল খাবার! কল্পনাও করা যায় না! শুধু খাবার নয়... হা লং বে-র ভিউ, জলের মধ্যে জেগে থাকা ছোট ছোট সবুজ পাহাড়, কেভ... সব মিলিয়ে দারুণ! আর সুন্দর ক্রুজটার সঙ্গে তার স্বাচ্ছন্দ্যও মনে রাখার মতো। দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা!”
অন্য টুরিস্টদের কেমন লাগল? তিনি বললেন, “অদ্ভুত একটা বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সবাইকে নিজের বলে ফিল হচ্ছিল।”