রজত
জয়ন্তী বর্ষে পা দিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর
স্টেডিয়ামে ঘড়ির কাঁটায় চারটে বাজতেই যেন গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে যেন চাঁদের হাট।
শাহরুখ খান, মহেশ ভট্ট, রাখি গুলজার থেকে শুরু করে টলিউডের
নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, পাওলি দাম, দেব,
সোহম
সহ হাজির চলিউডের প্রায় সবাই। তনুশ্রী শঙ্কর ডান্স গ্রুপের মনমাতানো অনুষ্ঠানের পরই
মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয় সবাইকে। রাজ চক্রবর্তী এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে
অনুষ্ঠানে সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন
যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং জুন মালিয়া। এ বছর চলচ্চিত্র উৎসবে ফোকাস
কান্ট্রি জার্মানি। দেখানো হবে সে দেশের বিখ্যাত পরিচালকদের ক্লাসিক সব সিনেমা। এবারের
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মোট ২১৪ টি ফিচার ছবি দেখানো হবে। যার মধ্যে থাকবে ১৫২ টি
স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ও তথ্যচিত্র। ৭৬ টি দেশের ছবি দেখানো হতে চলেছে উৎসবে। যার
মধ্যে ভুটান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, গুয়াতেমালা, উরুগুয়ে, লেবানিয়ার
মতো দেশের ছবি রয়েছে। চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হবে ‘গুপি
গাইন বাঘা বাইন’ ছবি দিয়ে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শাহরুখ খানকে ওয়েলকাম জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিশেষ কোনও স্পিচ তৈরি করে আসিনি। ধন্যবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। এবার শতবর্ষ পূরণ হল বাংলা সিনেমার। এই শহর দেখেছে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটককে। যার জন্য সারা বিশ্ব চেনে ভারতীয় সিনেমা এবং বাংলা সিনেমাকে। সিনেমা নিয়ে নতুন প্রজন্মের উৎসাহ দেখলেও ভাল। এই কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ।
প্রথমে নস্টালজিক হয়ে গিয়ে রাখি যোগ করেন, "আমার ধমনীতে বাংলা, আমি বাংলার মেয়ে"। "অনেক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছি কিন্তু এত ভাল ভাবে সবাইকে খুশি করে কাজ কোথাও হয়না", যোগ করেন রাখি। কিন্তু হাততালিতে স্টেডিয়াম ফেটে পড়ল যে কারণে তা হলো –রাখি গুলজার বাংলা শেখাবেন শাহরুখ খানকে। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে কিং খানকে দিয়ে বাংলা বলালেন রাখি গুলজার।
শাহরুখ যে তাঁর ভাই, সেটা আবারও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, শাহরুখকে প্রতিবারই আসতেই হবে। বাংলায় দুর্গাপুজো দেখার আমন্ত্রণও করলেন শাহরুখকে। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে স্বকীয়ভঙ্গিতে মমতার মন্তব্য,''শাহরুখ নো ছুট্টি, তাহলে কাট্টি।'' এরপর মমতার মুখে শাহরুখের ভূয়সী প্রশংসা। দুর্গাপুজো দেখার জন্য বিশিষ্ট সমস্ত অতিথিদের আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।