
অমিতাভ বচ্চনের ছবি তিনি ছোট থেকেই দেখেছেন। তাঁর কথায় “বাড়িতে তখন ভিডিয়ো ক্যাসেট আসত আর বেশির ভাগ সময়ে অমিতাভ বচ্চনের ছবির ক্যাসেট ভাড়া করা হত। মনে আছে, আমি একবার ‘হম’ দেখছিলাম। সেখানে বচ্চন স্যর যখন ‘বখতাওয়ার’ বলে চিৎকার করছিলেন, অনেক দিন পর্যন্ত আমার মনে হত ওটা একটা গালি। ওটা যে কারও নাম ছিল, সেটা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছিল। এর জন্য অনেক দিন পর্যন্ত আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হত”।
তাঁর কেরিয়ার নিয়ে পরিবারের মতে “যখন ২১ বছর বয়স, তখন আমি ফিল্মে আসার সিদ্ধান্ত নিই। প্রথমে পরিবারের সায় ছিল না। মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। এত বছর বাদে অবশ্য এটা মেনে নিয়েছে যে, আমি কিছু একটা করতে পেরেছি। তবে পরিবার কখনও আমার প্রশংসা করে না। মা বন্ধুদের সঙ্গে আমার ছবি দেখতে যান। আর আমার কাজ নিয়ে কিছু বলার থাকলে, সেটা আমাকে বলেও দেন। এখন আমার কোনও টেনশন নেই। মুম্বইয়ে নিজের চেষ্টায় বাড়ি বানিয়েছি। সময় বুঝে বিয়েও করব”।
তিনি লাভ ম্যারেজে বিশ্বাসী। “চোখের সামনে আমার মা-বাবাকে দেখেছি। এত দিন ধরে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তাঁরা। বিয়ে প্রতিষ্ঠানটার কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই আমার।
তার সঙ্গে আমার যেন একটা বন্ডিং তৈরি হয়। সে যে কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই হতে পারে। আমি যখন কোনও মেয়ের সঙ্গে কথা বলি, সবচেয়ে আগে তার চোখের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। সেটাই তার সম্পর্কে আরও জানার উৎসাহ তৈরি করে। দু’জনের সম্পর্কের মধ্যে সততা থাকা জরুরি। অনেক সময়ে চেহারা সুন্দর হলেও যদি অকারণে মিথ্যা বলে বা আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য কিছু বানিয়ে বলে, সেটা আমাকে খুব হতাশ করে”।
স্টারডম তাঁকে খুব একটা ভাবায় না। “আমি জানি না, একজন স্টারকে কেমন আচরণ করতে হয়। মনে হয় না, কাজ আমাকে বদলাতে পারে। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। সাত-আট বছর হয়েছে মাত্র জনপ্রিয়তা পেয়েছি। অনুরাগীরা সেলফি তুলতে আসেন। আমার স্কুলের কিছু বন্ধু এবং আমার পরিবার আমাকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করেছে”।