কোটিপতি রাধিকা আপ্তে বলিউডে প্রথম শ্রেণির নায়িকা। তাঁর অনেক ফিল্ম মুক্তি পেয়েছে এবং অনেকগুলির কাজ চলছে। এহেন রাধিকা নিজের বিয়েতে ছেঁড়া শাড়ী পড়েছিলেন।
শুধু ছেঁড়া শাড়িই নয়, নিজের রিসেপশনের দিন আবার মাত্র ১০ হাজার টাকার পোশাক বানিয়েছিলেন। এখন বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছেও ১০ হাজার টাকায় বিয়ের শাড়ি খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে রাধিকা আপ্টের মতো এক তারকা এত কম খরচ করেছেন কেন?
অবাক লাগছে নিশ্চয়! অবশ্য অবাক হওয়ারই বিষয়। আসলে রাধিকা অন্য সেলেবদের থেকে একটু আলাদা। খুব প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে এবং এত নামজাদা তারকা হয়েও তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন কাটাতে ভালবাসেন।
রাধিকার জন্ম তামিলনাড়ুর ভেলোরে। তাঁর বাবা-মা দু’জনেই ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন।
রাধিকা নিজেও ভীষণ মেধাবী ছিলেন। পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে অর্থনীতি এবং অঙ্ক নিয়ে স্নাতক হন তিনি।
রাধিকা অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা-মা দু’জনেই পুণের নাম করা চিকিৎসক। অনেকেই জানেন না, তা সত্ত্বেও রাধিকা কেরিয়ার শুরু করেন মাত্র আট হাজার টাকার মাইনেতে।
মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে একটি থিয়েটার কোম্পানিতে মাত্র আট হাজার টাকা মাইনের বিনিময়ে কাজে যোগ দেন তিনি। গোরেগাঁওয়ের একটি পুরনো বাড়ির ছোট ঘরে পেয়িং গেস্ট থাকতেন। তাঁর সঙ্গে রুম শেয়ার করতেন আরও অনেকেই।
রাধিকা আগাগোড়াই এমন। ২০১১ সালে লণ্ডনে তাঁর স্বামী মিউজিসিয়ান বেনেডিক্ট ট্রেলরের সঙ্গে পরিচয়। বেনেডিক্টের সঙ্গে ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপে রয়েছেন রাধিকা। ২০১৩ সালে বিয়ে করেন তাঁরা।
সেই বিয়ের দিন রাধিকা যে শাড়িটা পরেছিলেন সেটা আসলে ছিল তাঁর ঠাকুমার বিয়ের শাড়ি। বহু দিনের পুরনো হওয়ায় শাড়িটা অনেক জায়গায় ফুটো হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু রাধিকার জীবনে তাঁর ঠাকুমার গুরুত্ব অনেক। তাই সেই ফুটো হওয়া পুরনো শাড়িটাই রাধিকা নিজের বিয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
আর রিসেপশনের দিন মাত্র ১০ হাজার টাকার একটি পোশাক পরেছিলেন। কারণ, রাধিকা অহেতুক পোশাকের পিছনে অনেকটা টাকা খরচ করেন না একেবারেই।