লাদাখ এবং গ্রিস দুটি সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশে সইফ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন করিনাকে। কিন্তু প্রত্যেকবারই উত্তর আসে নেতিবাচক।
একটি বিনোদনমূলক ওয়েবসাইটে নিজেদের বিয়ের নিয়ে এমনই মজার কথা সম্প্রতি শেয়ার করেছেন করিনা। কেন না বলেছিলেন প্রথমে, জানিয়েছেন সে-ই কথাও। কারণ, তিনি সইফকে ভাল করে চিনতেন না। তাঁর মনে হয়েছিল, বিয়ে করে সংসার শুরু করতে হলে দু’জনের দু’জনকে আরও ভালভাবে চিনতে হবে।
এই উত্তরই তিনি দিয়েছিলেন সইফকে। তিনি করিনাকে প্রোপোজ করেছিলেন ২০০৮ সালে, ‘টশন’ ছবির শুটিং লোকেশনে। এ দিকে করিনা তখন নিজেও সইফের প্রেমে হাবুডুবু। আগেও তাঁদের দেখা হয়েছে। কিন্তু ‘টশন’ ছবির শুটিংয়ে সব চেনা ছক গোলমাল হয়ে গিয়েছিল। করিনা জানিয়েছেন, সে সময় সইফ তাঁর চোখে নতুন রূপে যেন ধরা দিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তাঁর মনে হয়েছিল বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হলে আরও কিছু সময় প্রয়োজন।
সেই সময় তাঁর দু’জনে দু’জনকে দিয়েছিলেন। চারবছর প্রেমপর্বের পরে সইফ-করিনা বিয়ে করেন ২০১২ সালে। তাঁদের একমাত্র পুত্র তৈমুরের জন্ম হয় ২০১৬ সালে।
সইফ-করিনার বয়সের ব্যবধান দশ বছর। অমৃতার সঙ্গে সইফের তেরো বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪ সালে। তার আট বছর পরে করিনার সঙ্গে নতুন সংসার শুরু শর্মিলা-তনয়ের।
‘টশন’ ছাড়াও সইফিনা জুটি একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘কুরবান’ এবং ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবিতে। ২০১২ সালে মুক্তি পায় এজেন্ট বিনোদ। এরপর তাঁদের একসঙ্গে অনস্ক্রিন আর দেখা যায়নি। তবে আলাদাই দু’জনেই চুটিয়ে কাজ করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। করিনার আগামী দু’টি ছবি মুক্তি পাবে এই ডিসেম্বরেই। করিনা অক্ষয় কুমারে বিপরীতে অভিনয় করেছেন কমেডি-ড্রামা ‘গুড নিউজ’-এ। পাশাপাশি তাঁকে দেখা যাবে ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অনুসরণে তৈরি আমির খানের ‘লাল সিংহ চাড্ডা’-তেও।