‘পানিপতের’ জন্য চরিত্র না পরিচালক কোনটা দেখেছিলেন তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সজাসাপটা জবাব “প্রাথমিক ভাবে গল্প শুনেই রাজি হই। ইতিহাসের পাতায় সদাশিব রাও সম্পর্কে খুব কম কথা বলা হয়েছে। ওঁর সাহসিকতার গল্প, উনি যে ভাবে একজোট হয়ে বাইরের শত্রুদের মোকাবিলা করেছেন, সেটা ক’জন জানে? আমার মতে এই গল্পটা সকলের জানার উচিত”।

প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর মত “পরিশ্রম প্রতিটা ছবিতেই করি। ‘পানিপত’-এর জন্য প্রথম বলিদান ছিল আমার চুল। অভিনেতাদের কাছে চুল গয়নার মতো। চুল কাটার পরে পারতপক্ষে আয়নার দিকে তাকাতাম না, পাছে মন খারাপ হয়ে যায়। ঘোড়া চালাতে আগেই জানতাম। কিন্তু এই ছবির জন্য কিছু স্পেশ্যাল ট্রেনিং নেওয়ার দরকার ছিল। দু’মাস টানা ঘোড়ায় চড়া অভ্যেস করেছি। যে ঘোড়ার সঙ্গে শুট করেছি, ওর নাম জবার। কৃতী (শ্যানন) শুনলে রেগে যাবে কিন্তু ওই ঘোড়াটাই ছবিতে আমার আসল কো-স্টার (হাসি)! তার পর মরাঠি ভাষাটা রপ্ত করতে হয়েছিল। এমনিতে আমি মরাঠি বলতে পারি। কিন্তু পারফেক্ট হওয়ার জন্য আরও ভাল করে শিখলাম”। 

পরিচালককে নিয়ে তাঁর মন্তব্য “দু’-এক বার আমার সঙ্গে আশু স্যরের পার্টিতে দেখা হয়েছিল। তখন উনি আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। আমার প্রত্যেকটা ছবি উনি দেখেছেন। ছবির জন্য আমাকে কতটা মানাবে... ইত্যাদি বিষয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছিলেন। আমার উল্টো দিকে সঞ্জয় দত্ত রয়েছেন। আশু স্যর বলেছিলেন, ‘সঞ্জয়ের সামনে আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দাঁড় করাতে চাই। কোনও যুবককে নয়। তাই ক্যামে‌রার সামনে নিজেকে অর্জুন না ভেবে সদাশিব রাও ভেবেই সঞ্জয় দত্তের সামনে দাঁড়াবে।’ এই কথাগুলোই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল”। 

সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। “দু’-এক বার আমার সঙ্গে আশু স্যরের পার্টিতে দেখা হয়েছিল। তখন উনি আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। আমার প্রত্যেকটা ছবি উনি দেখেছেন। ছবির জন্য আমাকে কতটা মানাবে... ইত্যাদি বিষয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছিলেন। আমার উল্টো দিকে সঞ্জয় দত্ত রয়েছেন। আশু স্যর বলেছিলেন, ‘সঞ্জয়ের সামনে আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দাঁড় করাতে চাই। কোনও যুবককে নয়। তাই ক্যামে‌রার সামনে নিজেকে অর্জুন না ভেবে সদাশিব রাও ভেবেই সঞ্জয় দত্তের সামনে দাঁড়াবে।’ এই কথাগুলোই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল”। 

নিজের সম্বন্ধে তাঁর মত “ ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগেই আমি পরিণত ছিলাম। জীবন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। কোনও ব্যর্থতা আমাকে ছুঁতে পারে না। আগে হাসতাম কম, কথাও কম বলতাম। সকলে ভাবত আমি অহংকারী। কিন্তু সেটা সত্যি নয়। এখন সময়ের সঙ্গে অনেক সংযত হয়ে গিয়েছি”। 

 

Find out more: