অক্ষয় কুমার কানাডার বাসিন্দা৷ বলিউডের স্টার হয়েও তিনি এ দেশের বাসিন্দা নন৷ এই নিয়ে বিভিন্ন সময় নিন্দুকরা তাকে বাঁকা কথা শোনাতে ছাড়েন না৷ এমন ধরণের মন্তব্য তাকে খুবই কষ্ট দেয় বলেই জানান অক্ষয়৷ তিনি আরও জানান যে তার স্ত্রী ট্যুঙ্কল এবং সন্তান সকলেই ভারতীয় বাসিন্দা৷ নিয়ম মেনে রীতিমত মোটা টাকা আয়কর দেন অক্ষয়৷ যে দেশে জন্মেছেন তিনি সেই দেশের বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে ভাবতে পছন্দ করেন এবং সেকারণেই দ্রুত ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানিয়েছেন অভিনেতা৷
তেরঙা নিয়ে গর্বিত অক্ষয়৷ সামাজিক সমস্যা নিয়ে বলিউডের যে ছবি তৈরি হয় তার অন্যতম মুখ অক্ষয় কুমার৷ দেশের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে একের পর এক ছবি তৈরি করছেন তিনি৷ কখনও শৌচালয়ের সমস্যা নিয়ে ছবি তো কখনও মেয়েদের পিরিয়াড নিয়ে ছবি করে তিনি একপ্রকার সমাজ সংস্কারকের ভূমিকা পালন করছেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আর তিনিই নাকি দেশের নাগরিক নন! এই নিয়ে অনেক সময় অপমানের মুখে পড়তে হয়েছে অক্ষয়কে৷ এই ধরণের বক্তব্য তাকে পীড়া দেয়৷ সেই কারণেই নিজের নাগরিকত্ব পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অক্ষয়৷ শীঘ্রই ভারতের পাসপোর্ট চলে আসবে তার হাতে৷
অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নার স্বামী এবং অভিনেতা রাজেশ খান্না জামাতা। ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৮ সালে উইন্ডসর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে। ২০০৯ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে। ২০১১ সালে চলচ্চিত্র শিল্পে তার অনন্য অবদানের জন্য তিনি এশিয়ান অ্যাওয়ার্ডস থেকে সম্মাননা লাভ করেন।