বুধবার ছিল বিরুস্কার জীবনের একটি বিশেষ দিন। ঐ দিন ছিল তাঁদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী। আর স্ত্রীকে উপহার হিসাবে বিরাট দিলেন বিশ্বকাপ জয়ের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ।
২৯ বলে অপরাজিত ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন কোহালি। ম্যাচের পরে সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজই ছিল আমাদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। তাই ম্যাচটিও বিশেষ। স্ত্রীকে এটাই আমার উপহার।’’
বুধবার সকালেই ইনস্টাগ্রামে অনুষ্কার সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে বিরাট লেখেন, ‘‘বাস্তবে একমাত্র ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নেই। যখন ঈশ্বর আশীর্বাদস্বরূপ এমন এক জনকে আপনার কাছে পাঠান, যে প্রতিনিয়ত সেই অনুভূতিটা ফিরিয়ে দেয়। তখন একটাই উপলব্ধি হয়, আমি তার কাছে কতটা কৃতজ্ঞ।’’ অনুষ্কাও টুইট করেছেন, ‘‘ভালবাসা শুধুমাত্র একটা অনুভূতি নয়। তার চেয়েও অনেক বেশি। চিরন্তন সত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ। আমি তা খুঁজে পেয়েছি।’’
বিরুষ্কার বিবাহবার্ষিকী ঘিরে উত্তাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটগুলো। আর বিরাট স্বমহিমায় নিজের প্রভাব বিস্তার করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং বিভাগের উপরে। এ দিন প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রান পূরণ হল ভারত অধিনায়কের।
কিন্তু কী করে এত বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন তিনি? বিরাটের উত্তর, ‘‘রাহুলকে একটা দিক ধরে রাখতে বলেছিলাম। আর দ্রুত রান করার দায়িত্বটি নিতে চেয়েছিলাম আমি।’’ যোগ করেন, ‘‘শুরু থেকেই দেখছিলাম খুব ভাল টাইমিং হচ্ছিল। সেটাই কাজে লাগিয়েছি।’’
কোহালি প্রশংসা করে গেলেন রোহিত ও রাহুলের ওপেনিং জুটির। ১৩৫ রান যোগ করার সুবাদেই পরের দিকের ব্যাটসম্যানেরা বড় শট নিতে দ্বিধাবোধ করেনি। বিরাট বলছিলেন, ‘‘এটাই দেখতে চেয়েছি। আগের ম্যাচগুলোয় শুরুতে ব্যাট করার সময় দ্বিধা কাজ করত। বড় শট নেব, নাকি উইকেট বাঁচাব। এই ম্যাচে রাহুল ও রোহিত দ্বিধাবোধ করেনি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে। সুবিধা হয়েছে পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের।’’
ভারতীয় অধিনায়ককেই সিরিজ সেরা বেছে নেওয়া হল। ম্যাচের সেরা হলেন কে এল রাহুল। ভারতীয় ওপেনার বলে গেলেন, ‘‘বড় রান করার লক্ষ্যেই নেমেছিলাম। দেখতে চেয়েছি, কত রান করলে বিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। এই ম্যাচটি আমাদের কাছে ভাল শিক্ষা। আগামী সিরিজগুলোর আত্মবিশ্বাসও পাওয়া যাবে এই ম্যাচ থেকে।’’