প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদর পেয়ে বেজায় খুশি ছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আল্পসে ঘেরা জেনেভায় সদ্য হানিমুন সেরে বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সৃজিত-মিথিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বাহারি রান্নার ছবি। মেনুতে ছিল ঝিরি ঝিরি আলুভাজা, লটে শুঁটকি, পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল এবং বাঁধাকপি দিয়ে গরুর গোস্ত। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, “শ্বশুরবাড়ির প্রথম অফিসিয়াল ভুরিভোজ...।”
বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। সৃজিতের অনুরাগীদের বেশিরভাগই যখন ওই সুস্বাদু পদের তারিফে মশগুল ঠিক তখনই জনৈক টুইটাররেত্তি সৃজিতকে লেখেন, “হিন্দু নামের কলঙ্ক আপনি। আগে আপনাকে সনমান (সম্মান) করতাম। কিন্তু এই পোস্ট পড়ার পর থেকে আপনাকে ঘৃণা করি। আপনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করুন। আই হেট ইউ।”
এর পরই সেই টুইটার ব্যবহারকারীকে একহাত নেন সৃজিত। তিনি পাল্টা লেখেন, “হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা আপনার মতো অশিক্ষিতের মুখে বেমানান। ঋক বেদ, মনুস্মৃতি ও গৃহসূত্রর কিছু শ্লোক দেব খাওয়াদাওয়া নিয়ে, রোজ সকালে কান ধরে ছাতে দাঁড়িয়ে মুখস্থ করবেন। ভদ্রভাবে বোঝালাম, নয়তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমারই লেখা।”
এর পরই সৃজিতের ফ্যানেরা তাঁর প্রশংসায় ফেটে পড়েন। কেউ লেখেন, “আমি আমার কষ্টার্জিত টাকায় গরুর মাংস খেলাম না কুমিরের মাংস খেলাম না অ্যাভোকাডো খেলাম সেটা তো আমার ব্যাপার।”
কারও মতে, “ভাই, তোমাকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে পাঠ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ভালমতো দিয়েছেন এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে একটা পরামর্শ নাও। যে ব্যক্তিকে ঘৃণা করবে, সমালোচনা করবে তার সমতুল্য জ্ঞানী হবে বা তার জ্ঞানের ছিটেফোঁটা অর্জন করে আসবে। নইলে উল্টো বাঁশ সামলানো বেশ কষ্টকর।”
যদিও সৃজিতের বক্তব্যের বিরোধিতাও করতেও দেখা গিয়েছে কয়েক জনকে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘আপনার যা ইচ্ছা আপনি খেতেই পারেন। কিন্তু বেদ-এ এসব কিছু লেখা নেই। দয়া করে বেদ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াবেন না।”