ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতাদের পেশা সামলে শখের বিষয় চর্চা করার সময় খুব কম। কিন্তু তার মধ্যেও নেশার জোরেই চর্চা চালিয়ে যান কেউ কেউ। ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকের নায়ক উজান, মানে শন বন্দ্যোপাধ্যায় সময় পেলেই শখের বিষয় চর্চা করেন। শখের বিষয় চর্চা করার জন্য এই মুহূর্তে সময় পাচ্ছেন?
শন অকপট, “শুটিংয়ের পর্বটা এত ক্লান্তিকর, শখের জন্য সময় পাওয়া যায় না। আমাদের ব্যাঙ্কিং খুব একটা বেশি নেই। শুটিং নিয়েই ব্যস্ত, সকাল থেকে রাত।”
আপনার শখের বিষয় কী? শন বললেন, “আমি স্কেচিং করি, পেন্টিং করি, স্কাল্পচার করি। বক্সিং পছন্দ করি। সাঁতার কাটতেও খুব ভাল লাগে।”
দিল্লি কলেজ অফ আর্টস-এর ফাইন আর্টস বিষয়ের প্রাক্তন ছাত্র শন। সময় পেলেই বসে পড়েন ছবি আঁকতে। ঠিক কী ধরনের কাজ করতে বেশি ভাল লাগে? তিনিজানালেন, “পেন অ্যান্ড ইঙ্ক, পেনসিল স্কেচ। আমি ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, মানে মনোক্রোম খুবই পছন্দ করি। আমার প্রায় সমস্ত ছবি মনোক্রোম, কালার খুব কম পাওয়া যাবে।”
কখনও দিদার (সুপ্রিয়া দেবী) ছবি এঁকেছেন? শন, “হ্যাঁ, এঁকেছি।”
‘মেঘে ঢাকা তারা’-র নীতার ছবিই এঁকেছেন তিনি। ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বিচ্ছুরিত আলোর প্রেক্ষাপটে নীতার মুখ। ঋত্বিক ঘটকের ভাবনায়, দীনেন গুপ্তর ক্যামেরায় লো অ্যাঙ্গেল ক্লোজ শটে ধরানীতার সেইব্যথাতুর চোখ শন ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর স্কেচের আলো-আঁধারিতে।
ছবি দেখে আপনার দিদা কিছু বলেছেন? শন জানালেন, “ছবিটা দিদার মৃত্যুর পর এঁকেছি।”
দিদার ছবি একে তাঁকে দেখাতে না পারার মন খারাপ তো আছেই। কিন্তুতাঁরঅন্যান্য ছবি দেখে সুপ্রিয়া দেবী কখনও কিছু বলতেন? তাঁর স্বরে ছুঁয়ে গেল বিষণ্ণতা, “আমাকে দিদা ফুল পারসিউ করতেন। কিন্তু আমি হবি হিসেবেই নিয়েছি, অকুপেশন হিসেবে কখনও নিতে পারব না। এটা আমার ভাল লাগার জায়গা, প্যাশন।”