অশ্বিনীর মতে ‘কঙ্গনা একজন অসামান্য অভিনেত্রী। মনে আছে, প্রথম বার আমি কঙ্গনাকে মেসেজ করেছিলাম নিজের পরিচয় দিয়ে। লিখেছিলাম, আমার কাজ দেখার জন্য। মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কঙ্গনা আমাকে কল ব্যাক করে বলে, ও আমার কাজ দেখেছে। আমি ওকে মেসেজ করেছি দেখে খুব অবাক হয়ে গিয়েছিল প্রথমে। কঙ্গনার সঙ্গে কাজ করে ওকে ধীরে ধীরে বুঝেছি। যেটা হয়তো বাইরের লোকের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। ওর খুব বড় একটা গুণ হল, নিজের পরিবার আর কাছের বন্ধুদের ভীষণ ভাবে আঁকড়ে রাখে। কঙ্গনার মধ্যে এক দারুণ বন্ধু খুঁজে পেয়েছি।
আমাদের মুড অফ হয় না? খারাপ দিন-ভাল দিন তো সকলের জীবনেই আসে। আর মনে রাখতে হবে, কঙ্গনা একজন সুপারস্টার। ওর একটা অরা আছে, যেটা ওকে মেনটেন করতে হয়। সেটে, বিশেষ করে আউটডোরে অভিনেতাদের একটা আলাদা জ়োনে থাকতে হয়। কঙ্গনাও ব্যতিক্রম নয়’।
কঙ্গনার পরামর্শ তিনি সাদরে গ্রহণ করতেন, তাঁর কথায় ‘আমি এমন একজন পরিচালক যে সকলের কাছ থেকে টিপস নেয় (হাসি)! আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরও সারাক্ষণ পরামর্শ দিয়ে যায়। পুরো শুটিংয়ে কঙ্গনা একবারই শুধু মনিটরে নিজেকে দেখে মতামত জানিয়েছিল। রোজ সকালে সেটে গিয়েই আমার প্রথম কাজ ছিল কঙ্গনার কপালে চুমু খাওয়া। যে দিন সেটা হত না, সে দিন কঙ্গনা সেটে এসেই জিজ্ঞাসা করত, আমি কোথায়’।
তাঁর সন্তানেরা তাঁকে উৎসাহিত করে, ‘ ‘পঙ্গা’র একটা শিডিউলে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। একদিন ছুটি পেয়েছিলাম বলে বাড়িতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। সেই সময়ে আমার ছেলে এসে হঠাৎ বলল, ‘মা তুমি ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত ফিল্ম বানাবে।’ আমি বললাম, আমি তো অত দিন বেঁচেই থাকব না। তার উত্তরে ছেলে বলেছিল, ‘তোমার ছবি আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত দর্শক মনে রাখবে।’ ওর কথাটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল’।
তাঁর ছবির অনুপ্রেরণা নিয়ে বললেন ‘আমি বেশি ছবি দেখি না। চেম্বুরে আমার বাড়ি, সেখানকার পরিবেশ আমার খুব প্রিয়। অবসরে বই পড়তে ভালবাসি, লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করি। সেই দেখেই অনেক কিছু শিখি। এই অবজ়ার্ভেশনগুলোই আমায় নতুন অনুপ্রেরণা জোগায়’।
সুধা আর নারায়ণ মূর্তিকে নিয়ে ছবি করার কারন হিসাবে বললেন ‘শুধু পরিচালনা নয়, ছবিটার প্রযোজনাও করছি আমি। নারায়ণ স্যর আর সুধা ম্যাম যে ভাবে জীবনযাপন করেন, সেটা খুবই শিক্ষণীয়। ওঁদের সততা শেখার মতো। যখন ছবি তৈরির অনুমতি চাইতে গিয়েছিলাম, তখন ওঁরা দু’জনে আমার ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন রীতিমতো। এটা আমার কাছে শুধুই ছবি নয়, একটা জীবনদর্শন’।