নিজের পরবর্তী ছবির মাধ্যমে একটি খুব সহজ অথচ বাস্তব একটি প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে করে যেকোন সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে যে কেন এই যুদ্ধ। ছবির নাম ধর্মযুদ্ধ। রাজ শুভশ্রীর ছবিতে এসেছে ধর্মযুদ্ধ। আজ আর টেডিবিয়ার বা বেলুন ফাটানোর দিন নয়, “আমি চেয়েছিলাম এমন এক ছবি করতে যা সমাজের সব স্তরের মানুষকে কিছু না কিছু বার্তা দেবে। এই ছবির সংলাপ শুনলেই বুঝতে পারবেন কোথাও হিন্দিতে কথা হচ্ছে আবার কোথাও বাংলাতে কথা হচ্ছে। এই সব ভাষার মিলনেই তো আমার ভারত। ধর্ম নিয়ে যুদ্ধের প্রয়োজন কী?”
ধর্মযুদ্ধের ট্রেলার দেখলেই বোঝা যায় রাজ চক্রবর্তী খুব সহজ করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, মৃত্যু এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র সামনে এনে মানুষের ক্ষতির বিষয়টিকেই বড় করে তুলে ধরছেন। “হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হলে ক্ষতি হয় মানুষের”,বলছেন রাজ। যিনি শুভশ্রীকে এই ছবিতে এক হিন্দু গৃহবধুর চরিত্রে অভিনয় করিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত।
এই ছবিতে শুভশ্রী ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই ছবির জন্য আলাদা করে শিখেছেন বাঙাল ভাষা। চিত্রনাট্যের জন্যই এ ছবিতে এক কথায় কাজ করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। “ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ করে শুধু তো মানুষেরই ক্ষতি হয়”, বলছেন তিনি। এ ছাড়াও একটি মুসলিম মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকে। ধর্মকে পেরিয়ে যুদ্ধহীনতার বার্তা পৌঁছে দিলেন ভ্যালেনটাইন্সের দিনে।