বলিউড অভিনেত্রীদের প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে সবার মধ্যে কৌতূহলের অন্ত নেই। কেবল জিম, ডায়েট কিংবা ওয়ার্কআউট-ই নয় নিজেকে সুন্দর দেখাতে তাঁরা ভরসা রেখেছেন কৃত্রিম উপায়। কখনও ‘নোজ জব’ আবার কখনও ঠোঁটের ভোল একেবারে পাল্টে দিতে ‘লিপ জব’...এই চাহিদার যেন কোনও শেষ নেই। সব সময় যে, সকল অভিনেত্রীর অস্ত্রপচার সফল হয়েছে এমনটাও কিন্তু নয়। ঝুঁকি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অঙ্গের ভোল বদলাতে গিয়ে পাল্টে গেছে ফেলেছেন পুরো চেহারাটাই! কখনও বা হাসির খোরাক হতে হয়েছে অনেক অভিনেত্রীকেই।
বলিউডের অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম লিপ জব করানোর সাহস দেখিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাই মিস ওয়ার্ল্ড জয়ী প্রিয়ঙ্কা আর এখনকার প্রিয়ঙ্কার চেহারার মধ্যে ফারাক চোখে পড়ার মতো। তবে মিডিয়ার সন্মুখে কখনই সে কথা স্বীকার করেনি তিনি। শিল্পা শেট্টিও রয়েছেন এই তালিকায়। এক বার নয় দু’বার ‘নোজ জব’ করিয়েছেন তিনি। তবে কোনও লুকোচুরি নয় প্রকাশ্যে শিল্পা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর প্লাস্টিক সার্জারির কথা। কাজল তাঁর ‘ডাস্কি’ লুক নিয়ে়ই বলিউডে রাজত্ব করে এসেছেন চিরকাল। কিন্তু হঠাত্ করে ‘দিলওয়ালে’ ছবির শুটিংয়ের আগে নিজের গায়ের রং বদলে ফেলে নেটাগরিকদের সমালোচনার মুখে পরতে হয়েছিল তাঁকে। অনুষ্কা শর্মাও নাকি ‘পিকে’ ছবিতে তাঁর পারফেক্ট লুক আনতে করিয়েছিলেন ‘লিপ জব’।
এই লিস্ট আদতে বড়ই লম্বা। কঙ্গনা রানাউত, ক্যাটরিনা কইফ, মৌনী রায় আরও অনেক বলিসুন্দরীই প্লাস্টিক সার্জারির পথে হেঁটেছেন। শুধু এরাই নন একাধিক বার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন শ্রীদেবী। আর সেই জন্যেই নাকি তাঁর এই অকাল প্রয়াণ বলিউডে এমন ধারনা অনেকেরই।
কেউ বলে প্রকাশ্যে কেউ বা করেন লুকিয়ে চুরিয়ে। কেবল অভিনেত্রীরাই নন যৌবন ধরে রাখতে, ত্বকে গ্লো আনতে অনেক অভিনেতারাও কসমেটিক সার্জারি করান। আমির খান থেকে শাহরুখ খান তালিকায় রয়েছেন অনেকেই। তবে নেটাগরিকদের টার্গেট কেবল মহিলারাই! কেন?
সম্প্রতি করিনা কপূরের এক রেডিয়ো শো-তে অতিথি হয়ে এসেছিলেন রবিনা টন্ডন। করিনা তাঁকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেন বলুন তো বলিউডে মহিলা শিল্পীদের উপর যৌবন ধরে রাখার এত প্রেসার? উত্তরে রবিনার জবাব ‘‘আমি মনে করি বাইরের সৌন্দর্যটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে আপনার অন্তরটা কতটা যৌবন, কতটা সতেজ তার উপর।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন বলুন তো অভিনেত্রীদের প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে প্রেসার দেওয়া? মিডিয়া ধরেই নেয় যে কোনও অভিনেত্রী হঠাত্ সুন্দরী হয়ে উঠলেন তার মানেই তিনি সার্জারি করিয়েছেন নিদেনপক্ষে বোটক্স। অভিনেতারাও তো এমনটা করিয়ে থাকেন, তবে কেন সব সময় শুধু মহিলাদের উপরেই আঙুল ওঠে? এটাও এক ধরনের বৈষম্য।’’ তিনি মজার ছলে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতারা পর্দায় গ্ল্যামারেস লুক ধরে রাখতে কি কোনও ম্যাজিক ড্রিঙ্ক খান? যার খোঁজ আমরা রাখি না? করিনা তাঁকে প্রশ্ন করলেন তাঁর সম বয়েসের অভিনেতারা আজও লিড রোলে কাজ করে যাচ্ছেন, প্রশংসাও কুড়োচ্ছেন ভক্তদের...তাহলে সেই বয়েসের অভিনেত্রীরা কোণঠাসা কেন? তাদের বেলায় এমনটা নয় কেন? রবিনার জবাব,‘‘ বলিউডের ট্রেন্ড এখন বদলাচ্ছে। আমির, সালমান,অনিল এরা সকলেই এখন নিজের বয়েসের কাছকাছি চরিত্রগুলিতেও সমান দক্ষতায় কাজ করে চলেছেন।’’
রবিনা এখন ঠাকুমাও বটে। তবে বয়েস নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন তিনি। কন্নড় ছবি ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ শুটিং নিয়ে এখন ব্যস্ত রবিনা।