যদিও এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল অনেক আগেই তবুও গত অক্টোবরে থেকেই #'মি টু' শব্দ দুটি সোশাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই থেকে কাজের জায়গায় যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান ও সেই প্রতিবাদী প্রচারে সমস্বর হিসেবে পৃথিবীর আনাচ কানাচ থেকে কেবলেই বিরামহীন উঠে আসছে 'মি টু'।
আসলে চাষাবাদের কাজ হোক, মজুরের কাজ হোক, কি ঝাঁ চকচকে অফিস কিম্বা অন্য যে কোনো কাজের ক্ষেত্রই হোক, ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো নির্বিশেষেই পৃথিবীর সমস্ত দেশে সমস্ত সমাজে যৌন পীড়নের ঘটনা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ঘটে চলেছে। এবং সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে যে, সেই হেনস্তার ৭৫% ই নথিভুক্ত হয় না ।
কারণ, কাজ হারানোর ভয় থাকে, প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার শিকার হওয়ারও ভয় থাকে। এবং বলা বাহুল্য যে নির্যাতিতার সেই ভয়ই নির্যাতনকারীর সাহসও বাড়িয়ে দেয়, তাকে ক্রমশ অদম্য করে তোলে।
কাজের জায়গায় বিশেষ করে পুরুষ নিয়ন্ত্রিত কাজে নিজস্ব ক্ষমতার অপব্যবহার করে, কখনও ভয় দেখিয়ে মেয়েদের প্রতি যারা অন্যায় যৌনাচরণ করেছেন, হঠাৎই যেন ওই 'মি টু' আজ সেই সব নামী দামী ব্যক্তিদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এবং শাস্তির খাঁড়াও নেমে আসছে কারো কারো ওপর।
কতটা কার্যকরী হয়েছে মি টু ? কাজলের মতে বদল এসেছে। “হ্যাঁ। অবশ্যই। পরিবর্তন এসেছে। শুধু ফিল্মের সেটেই নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে । সত্যি বলতে ‘ভাল’, ‘মন্দ’ সব ধরনের পুরুষই কিছু করার আগে সাত পা পিছিয়ে যান এখন”
স্রুতিও গলা মিলিয়ে বলেন “তখন মিটু নিয়ে প্রতিবাদ সবে শুরু হয়েছে। আমার ফ্লাইটের এক সহযাত্রীকে দেখলাম, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা ও সেই সংক্রান্ত বিষয়ে শারীরিক নৈকট্যের উপর একটি প্রতিবেদন পড়ছিলেন। এই সচেতনতা দেখে ভাল লাগল।”