বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বান্দ্রার বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাড়ির পরিচারক থানায় ফোন করে খবর দেন। তার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। তবে এবার বলিউডের বিভিন্ন সিনেমা কতটা স্বজনপোষণের নিরিখে তৈরি হয়েছে, তা মাপতেই তৈরি করা হয়েছে নেপোমিটার। সুশান্ত সিং রাজপুতের স্মৃতিতে নেপোমিটার তৈরি করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেতার জামাইবাবু বিশাল কীর্তির তরফে। সুশান্ত সিং রাজপুতকে সম্মান জানাতেই ওই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বিশাল কীর্তি। শুধু তাই নয়, নেপোমিটার তৈরি করে, তাঁরা কিছু লাভ করতে চাইছেন। এমন ভাবনারও কোনও কারণ নেই। বর্তমানে পরিবারের প্রত্যেকে যাতে একে অপরের খেয়াল রেখে চলতে পারেন, সেটাই তাঁদের মূল লক্ষ্য বলেও জানান সুশান্ত সিং রাজপুতের জামাইবাবু। প্রসঙ্গত, সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তির স্বামী হলেন বিশাল কীর্তি। ক্যালিফোর্ণিয়ায় থাকেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তাঁর পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। শেষবার 'ছিঁচোরে' ছবিতে দেখা গিয়েছিল সুশান্তকে। এছাড়াও 'কেদরনাথ', 'এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি', 'ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী', 'পিকে', 'কাই পো চে' সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সুশান্ত। টেলিভিশনে 'পবিত্র রিস্তা' ধারাবাহিক দিয়ে কেরিয়ারে প্রথম সাফল্যের মুখ দেখেন সুশান্ত।