করোনা ত্রাস আর ইয়াসের দুর্ভোগের মধ্যেও আবেগপ্রিয় বাঙালি আজকের এই দিনটিকে আলাদা করে মনে করছে, কারণ আজ থেকে ঠিক ৮ বছর আগে চলে গিয়েছিলেন প্রাণের "দোসর" ঋতুপর্ণ ঘোষ। ঠিক ৮ বছর আগে এরকমই একটা সকালে খবর আসে ঋতুপর্ণ ঘোষ আর নেই! না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন সত্যজিৎ পরবর্তী সময়ে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। দর্শক, সহ-কর্মীদের একলা করে দিয়ে চলে গিয়েছেন। শোকের ছায়া নেমে আসে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে। ২০১৩ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে দিয়ে চলে যান সকলের প্রিয় পরিচালক (Rituparno Ghosh)। তবে তাঁর (Rituparno) শূন্যতার ৮ বছর পেরিয়েও এখন বাঙালির মনের বৈঠকখানায় জাঁকিয়ে বসে আছেন "ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি"।
প্রথমে বিজ্ঞাপন জগতের হাত ধরে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনার জগতে পা রাখেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। ১৯৯২ সালে তাঁর পরিচালনায় মুক্তি পায় প্রথম ছবি "হীরের আংটি", যা সহজেই মন কাড়ে দর্শকদের। এক অন্যরকমের গল্প বলা পরিচালককে যেন খুঁজে পায় বাঙালি দর্শক। পরবর্তীকালে তাঁর "১৯ এপ্রিল" ছবিটি শুধু বাণিজ্যিক ভাবেই সফল হয়নি, জিতে নেয় জাতীয় পুরস্কারও। তবে শুধু ১৯ এপ্রিলই নয়, তাঁর তৈরি "রেনকোট", "চোখের বালি", "তিতলি", "উৎসব", "অসুখ", "দ্য লাস্ট লিয়র", "সব চরিত্র কাল্পনিক", "আবহমান", একের পর এক ছবি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেয়। সেরা ফিচার ফিল্ম, সেরা চিত্রনাট্য এবং সেরা পরিচালনা বিভাগে তাঁর ফিল্মের জন্য ১২ টি জাতীয় পুরষ্কার জিতেছিলেন ঋতুপর্ণ। তবে শুধু চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে নয়, একটি জনপ্রিয় ফিল্ম ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসাবেও তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। টেলিভিশন চ্যানেলে দুটি জনপ্রিয় চ্যাট শো পরিচালনা করেন তিনি। সবমিলিয়ে সিনেমা থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ।