দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ সাহিত্যিক। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় এক মাসের যুদ্ধ জয় করে ফিরেছিলেন বাড়ি। কিন্তু আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতাসলে। চার চিকিৎসকের একটি দল চিকিৎসা করছিলেন বুদ্ধদেব গুহর (Buddhadev Guha)। কিন্তু রবিবার আর শেষরক্ষা হল না। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ ছাড়া তাঁর লিভার এবং কিডনিতেও সামান্য সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ফের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছিল। তবে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন। কিছুদিন আগেই চলে গিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। প্রয়াত হয়েছেন বাচিকশিল্পী গৌরি ঘোষও। এবার 'মাধুকরী' রচয়িতা।

সমকালীন বাংলা সাহিত্যে নিজের জায়গা গড়ে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’-এর পর থেকে ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘বাবলি’— একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল অবাধ বিচরণ। তাঁর সৃষ্ট ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করে রেখেছে কয়েক প্রজন্মের বহু কিশোর-কিশোরীর মনকে। অরণ্য ও প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা এই মানুষটির রচনা সাহিত্য জগতকে সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা কেড়ে নিল তাঁকে। ১৯৭৭ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন বুদ্ধদেব গুহ। পুরাতনী গানে স্বনামধন্য এই সাহিত্যিক ছিলেন চার্টাড অ্যাকাউন্টেটও। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

Find out more: