বলিউডকে(Bollywood) নতুন ধারার সংগীত উপহার দিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। আজও তাঁর গানের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সকলের পছন্দের বাপ্পিদা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দুজনেই ছিলেন সংগীত জগতের মানুষ। তাঁর আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ি। তাঁর ছোটবেলার বেশ কিছু সময় কেটেছে শিলিগুড়িতে, বুধবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে জীবনের বেশ কিছু সেরা সময় কাটিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। সেই বাড়িতে এখন থাকেন সংগীতশিল্পীর মাসতুতো দাদা ভবতোষ চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়েও যতবার উত্তরবঙ্গে গেছেন তিনি, তখনই হোটেলে না থেকে এই বাড়িতেই থাকতেন বাপ্পিদা। সেখান থেকেই বিভিন্ন শোয়ে যেতেন।
অন্যদিকে, শেষ যাত্রায় তাঁর গায়ে সোনা ওঠেনি বটে, কিন্তু কালো চশমায় চোখ ঢাকা হয়েছে তাঁর। জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত যে কালো চশমা তাঁর সঙ্গী ছিল, সৎকারের আগেও সেটি তাঁর সঙ্গেই। বাপ্পির শেষ যাত্রার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাপ্পা-সহ আরও কয়েক জন প্রয়াত সুরকারকে তাঁর বাড়ি থেকে শববাহী গাড়িতে তুলছেন। দেহ সাজানো হয়েছে ফুলের মালায়। চোখে পরানো হয়েছে কালো চশমা। শববাহী গাড়িকেও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। গাড়ির মাথায় রয়েছে বাপ্পির হাসিমুখের এক ছবি। তাঁর রাজকীয় শেষ যাত্রা দেখতে হাজির অজস্র মানুষ। গত প্রায় একমাস তিনি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবারই বাড়ি ফেরেন বাপ্পি। কিন্তু মঙ্গলবারই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারিক চিকিৎসক তাঁকে ফের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেই হাসপাতালেই অবস্ট্রাকক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। বলিউডে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’ প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন বহু গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি- ৩’ এর জন্য।
Find out more: