কানপুরে, নীতিশ কুমারের ছবি ‘বাওয়াল’ এর শুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। শট অনুযায়ী একটি লোকালয়ে বাইক চালাচ্ছিলেন তিনি, এদিকে শুটিং হলেও মাথায় হেলমেট নেই তার। এতেই ঘটল বিপত্তি। আইন মানেননি অভিনেতা! বিনা হেলমেটে গাড়ি চালানো অপরাধ – ফলেই কানপুর ট্রাফিক পুলিশের তরফে চালান কাটা হয় তার উদ্দেশ্যে। এখানেই শেষ নয়, মুশকিলে পড়েন গাড়িটি নিয়েও। সেই নির্দিষ্ট গাড়িটিও পুলিশি নির্দেশ মানেনি, ট্রাফিক আইন শৃঙ্খলার লঙ্ঘন করেছে – সেটির ক্ষেত্রেও কাটা হয়েছে চালান। পরনে ডার্ক সবুজ জামা, গগলস – অভিনয় করতে গিয়ে যে এমন কিছুর শিকার হবেন এ যেন ভাবনার অতীত! বছর দুয়েক পরেই, সিনে কেরিয়ারে মন দিয়েছেন তিনি। উত্তর প্রদেশে দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেই তিনিও ব্যস্ত ছিলেন শুটিংয়ে। জানা গিয়েছে তাকে ২০০০ টাকার জরিমানা আদালতে কিংবা ট্রাফিক পুলিশ দপ্তরে জমা করতে হবে। পরবর্তীতে নিয়ম লঙ্ঘন করলে আরও চালান কাটা হবে, এমনই জানিয়েছে কানপুর পুলিশ।
অন্যদিকে, ক্যানসার হয়েছে শুনে শুরুতে চিৎকার করে কেঁদেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। মৃত্যুর আতঙ্ক তাঁকে গ্রাস করেছিল। কী ভাবছিলেন তখন ‘মুন্নাভাই’? এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী, সন্তান সব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা! আমায় শেষ করে দিচ্ছিল সেই যন্ত্রণা।’’ কিন্তু টানা ৩ ঘণ্টা শোকে ডুবে থাকার পর সঞ্জয় উপলব্ধি করেন, মন দুর্বল হলে রোগ আরও পেয়ে বসবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা জোর গলায় বলে ওঠেন, ‘‘আমার কিচ্ছু হবে না।’’ বছর দুয়েক আগে কথা। করোনা আবহ, লকডাউন চলছে তখন। কোনও এক অলস দুপুরে স্নান সেরে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন সঞ্জয়। হঠাৎ বোন প্রিয়ঙ্কা দত্ত এসে দাদাকে দুঃসংবাদ দেন। কাউকে না কাউকে তো জানাতেই হত। কিন্তু আচমকা আসা এমন খবরের অভিঘাত নিতে পারেননি রোগী। কণ্ঠরোধ হয়ে আসছিল সঞ্জয়ের, শ্বাস নিতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল যেন ওখানেই পড়ে যাবেন! সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে ফোন করেন সঞ্জয়।