‘ও আন্তাভা ও আন্তাভা...’ এই গানটি মনে পড়লেই সামান্থার ডান্স চোখের সামনে ভাসতে থাকে। না, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। ১৯৮৭ সালে আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা। এদিন ৩৫ বছরে পা দিলেন তেলেগু অভিনেত্রী। আর জন্মদিনের দিনেই জেনে নেওয়া যাক সামান্থার কিছু অজানা কথা -
* বাড়ির নাম যশোদা। সামান্থা নামটি তাঁকে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি। বন্ধুবান্ধব, পরিচিত সকলে আজও অভিনেত্রীকে যশোদা বলেই ডাকেন।

* সামান্থার বাবা অন্ধ্রপ্রদেশের, মা কেরলের। তাই ভাষা-সংস্কৃতির অনেকখানি বৈচিত্রের মধ্যে মেয়ের বেড়ে ওঠা। যা তাঁকে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভাষার ছবিতে কাজ করতে সাহায্য করেছে।

* পড়াশোনায় খুব ভাল ছিলেন অভিনেত্রী। যদিও পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে দ্রুত রুটিরুজির পথ ধরতে হয়। মডেলিংয়ের পাশাপাশি শুরুতে পার্ট টাইম কাজও করতে বাধ্য হন সামান্থা।

* ২০১০ সালে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন সামান্থা। তাঁর প্রথম ছবি তেলুগুতে, ‘ইয়ে মায়া চেসভ’।

* ‘ওহ বেবি’ ছবিতে প্রথম চলতি ছকটা ভাঙলেন সামান্থা। ছবিতে তাঁর চরিত্রের বয়স ২৪ কিন্তু তাঁর অভিনয় ৭০ বছর বয়সির। গতে বাঁধা চরিত্রের বাইরে গিয়ে সামান্থার এই কাজ নজর কেড়েছিল।

* বলিউড সামান্থাকে চিনল ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ ছবির হাত ধরে। আমাজন প্রাইমের এই ভিডিও সিরিজে তামিল কন্যার অভিনয় ছিটকে দিয়েছিল বলিউডকে। প্রথম সুযোগেই বাজিমাত।

* প্রথম দিকে, সামান্থা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন সামান্থা। পার্ট টাইম জব করে রোজগার করেন। জনপ্রিয় পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফার এম আর রবি বর্মনের নজরে পড়েন সামান্থা। তাঁর হাত ধরেই অভিনয়ে জগতে পা রাখা। নিজের প্রতিভার জোরেই এর পরে চোখ টেনেছেন সামান্থা। আর কখনও পিছনে ফিরতে হয়নি।

* ২০১৭ সালে নাগা চৈতন্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। আক্কিনেনি পরিবারের বউ হিসেবে তাঁর সংসার বেশিদিন টেকেনি। চার বছরের মাথায় সম্পর্ক ভেঙে যায়। নাগার্জুনের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সামান্থা।  

Find out more: