প্রয়াত বাংলা সংস্কৃতি জগতের অন্যতম বিশিষ্ট মুখ, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ। দমদম গোরাবাজারের বাসিন্দা হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পার্থ ঘোষ। জানা গিয়েছে, ল্যারিংক্সে ক্যানসার ছিল তাঁর। ছিল সিওপিডি। শনিবার ভোরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৭.৩৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এক সময় পার্থ ঘোষ এবং গৌরী ঘোষের ‘কর্ণ-কুন্তী সংবাদ’ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। সে সময় গৌরী ছিলেন কুন্তীর ভূমিকায় এবং কর্ণের ভূমিকায় পার্থ। ২০২১ সালের ২৬ অগাস্ট মৃত্যু হয় পার্থ ঘোষের স্ত্রী গৌরী ঘোষের। শনিবার চলে গেলেন পার্থ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পার্থ। গলায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার ভোরে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন প্রবীণ বাচিকশিল্পী। রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ পার্থের কণ্ঠে বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। একই সঙ্গে জনপ্রিয় হয় রবীন্দ্রনাথেরই ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়।’ এ ছাড়া গৌরীর সঙ্গে বেশ কিছু শ্রুতিনাটক ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’ স্মরণে রাখার মতো।

পার্থ ঘোষের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, ‘তাঁর অনবদ্য আবৃত্তি মননশীল শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। তিনি দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের উপস্থাপক-ঘোষক হিসাবে কাজ করেছেন। পার্থবাবু পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে তাঁকে 'বঙ্গভূষণ' সম্মাননা প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি পার্থ ঘোষের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’

Find out more: