বুধবার সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বিরাশি বছর বয়সি অভিনেতার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। হাসপাতালের ডাক্তাররা অভিনেতার চিকিৎসা নিয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও তথ্য জানাতে চাইছেন না। সূত্রের খবর, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরেই বিক্রমের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমকে বিক্রমের স্ত্রী ব্রুষালি গোখলে জানিয়েছেন বুধবার দুপুরে কোমায় চলে গিয়েছে তাঁর স্বামী। আপাতত তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মাল্টি অরগ্যান ফেলইওর হয়েছে বিক্রমের। অভিনেতার স্ত্রী মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দিয়ে জানান, ''তিনি এখনও বেঁচে আছেন এবং কোমায় রয়েছেন। গতকাল বিকেলে তিনি কোমায় চলে যান। ভেন্টিলেটরে রয়েছেন তিনি। আগামীকাল সকালে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেবেন যে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, নাকি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না।''

বিক্রম তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পুণেতে থাকেন। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় চলে আসেন বিক্রম। এক সময়ের মরাঠি ছবির দাপুটে এই অভিনেতা পাল্লা দিয়ে হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ‘দিল সে’, ‘ভুলভুলাইয়া’, ‘হিচকি’, ‘মিশন মঙ্গল’ সহ আরও ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকের মনে রয়েছে। মরাঠি ছবি ‘অনুমতি’-তে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। উল্লখ্য, ১৯৭৬ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বিক্রম। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পরওয়ানা’ ছিল বিক্রমের প্রথম ছবি। বিক্রমকে দর্শক সম্প্রতি ‘নিকম্মা’ ছবিতে দেখেছেন। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং অভিমন্যু দাশানি।

Find out more: