তবে তারপর আর ছবির পরিচালনা করেননি প্রদীপ সরকার। ইদানিং মন দিয়েছিলেন ওটিটির জগতে। কোল্ড লস্যি অউর চিকেন মশালা,অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ,ফরবিডেন লাভ কিংবা গতবছরের অন্যতম সফল ওয়েব সিরিজ দুরঙ্গা-র পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন প্রদীপ সরকারই। কেরিয়ারে ফিল্মফেয়ার সহ বহু সম্মান পেয়েছেন তিনি। বর্ষীয়ান পরিচালকের প্রয়াণে শোকের ছায়া বলিপাড়া। ট্যুইটে শোকজ্ঞাপণ করেছেন হনসল মেহতা,মনোজ বাজপেয়ী ছাড়াও আরও অনেকেই।
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়,বাসু চট্টোপাধ্যায়দের পর বলিউডের সফল বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রদীপ সরকার। বহু সফল বিজ্ঞাপণ তৈরির পর পরিচালক তথা প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়ার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন প্রদীপ সরকার। পরিচালক রাজকুমার হিরানির সঙ্গে যৌথভাবে করেছিলেন মুন্নভাই এমবিবিএস ছবির সম্পাদনা। ২০০৫সালে প্রদীপ সরকার তৈরি করেন প্রথম ছবি পরিণীতা। একজন বাঙালি পরিচালক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে বলিউডে ছবি তৈরি করবেন। এমনটা কিন্তু ভীষণ স্বাভাবিক।পরিচালনার জগতে পা রাখার এমন সুযোগ মোটেও হাতছাড়া করেননি প্রদীপ। ছবিতে অভিনয় করে আত্মপ্রকাশ করেন বলিউডের দাপুটে অভিনেত্রী বিদ্যা বালন। পাশপাশি দেখা গিয়েছে সইফ আলি খান,সঞ্জয় দত্তকে।
অমিতাভ বচ্চনের একলব্য ছবিতে পালন করলেন ভিস্যুয়াল ডিরেক্টরের দায়িত্ব। আবার ২০০৭এ তৈরি করলেন দ্বিতীয় ছবি লাগা চুনরি মে দাগ। ছবিতে অভিনয় করলেন রানি মুখোপাধ্যায় ও কঙ্কনা সেনশর্মার। সহশিল্পী জয়া বচ্চন,অনুপম খের,অভিষেক বচ্চন ও কুণাল কাপুর। ২০১০সালে দীপিকা পাডুকোন ও নীল মুকেশ কে কাস্ট করলেন লাফাঙ্গে পরিন্দে ছবিতে।
তবে প্রদীপ সরকার কেরিয়ারের বড় সাফল্যটা পেলেন মর্দানি ছবিতে। অ্যাকশন কপ থ্রিলার ফিল্মে পুলিশ অফিসার শিবানি শিবাজি রায়ের চরিত্রে নজর কাড়লেন রানি মুখোপাধ্যায়। দেখা মিলল যিশু সেনগুপ্ত, অভনীত কৌর এবং ভিলেন তাহির রাজ ভাসিনের। ২০১৮সালে কাজল ও ঋদ্ধি সেনকে নিয়ে তৈরি করলেন মা ছেলের সম্পর্কের ছবি হেলিকপ্টার ইলা। এরপর আর কিন্তু ছবির পরিচালনা করেননি প্রদীপ সরকার। কেরিয়ারে খুব বেশি ছবি তৈরি না করলেও স্বল্প ছবিতেই নিজের ভাবনার বিস্তৃতি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক। বিজ্ঞাপণে তৈরির মুন্সিয়ানার প্রভাব পড়েছিল তাঁর ছবিতে। নিজের ছবির আর্ট ডিরেক্টর হিসেবেও দারুণ সফল প্রদীপ সরকার। এমন পরিচালকের প্রয়াণে আজ মন খারাপ তাঁর ভক্তকূলের।