রাজ্য তথা দেশের এই জনপ্রিয় গায়ক কোনওদিনই চাকচিক্যের মধ্যে থাকেন না। তাঁর জীবনযাপনও অত্যন্ত সাধাসিধে। নিজের স্কুটিতে চড়েই ভোট দিতে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। সওয়ার হয়েছেন ট্রেনেও। তিনি তাঁর পৈতৃক বাড়ি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জেই থাকেন। মাটির সঙ্গে তাঁর টান সেই জন্ম থেকে। সেজন্যই হয়তো সাধারণ মানুষের অভাব, চাহিদা বুঝতে পারেন। আর সেই ভাবনা নিয়েই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে ফেলেছেন রেস্তোরাঁ। যার নাম দিয়েছেন 'হেঁশেল'। জিয়াগঞ্জেই রয়েছে এই হোটেল। তাঁর পরিবারের সদস্যরাই এই রেস্তোরাঁ চালান। মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে পেট ভরে খেতে পারবেন যে কেউ। এখানে ভেজ থালির দাম মাত্র ৪০ টাকা। পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে এই হেঁশেল-এ। এছাড়াও মাছ-ভাত, মাংস-ভাত, ডিম-ভাতের থালি, বিরিয়ানি পেয়ে যাবেন মাত্র ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার বিনিময়ে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা অবধি খোলা থাকে এই রেস্তোরাঁ।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন তারকাদের রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম অনেকটাই বেশি থাকে। শুধুমাত্র ফেস ভ্যালুর কারণেই। সেক্ষেত্রে অরিজিৎ সিং যে মাত্রায় জনপ্রিয়, তিনি যদি সেই একই পথে হেঁটে রেস্তোরাঁ খুলতেন, সেটিও দিনকয়েকের মধ্যেই জনপ্রিয় হত। কিন্তু একেবারে উল্টোস্রোতে হেঁটে সাধারণ মানুষের জন্যই 'হেঁশেল' উৎসর্গ করলেন অরিজিৎ। তাই যদি মনে হয় মাসের শেষ, পকেটে টান, তবুও পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কোথাও খেতে যাবেন, বা কোনও আউটিং রয়েছে, তাহলে নির্দ্বিধায় প্রিয় গায়কের এই রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন।