কাটমানি নিয়ে গান বেঁধে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ালেন নচিকেতা।তাঁর কথানুযায়ী “দিদি ডাকলে নরকেও যেতে পারি”।শনিবার ছড়িয়ে পড়ে “খেয়েছেন যারা কাটমানি,দাদারা অথবা দিদিমণি......এসেছে সময় ফেরত দিন”।গায়ক, সুরকার ,কথাকার -নচিকেতা।যিনি প্রত্যেক বছর তৃনমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চে সুর দেন “চলুন একবার হাওয়া বদলাতে যাই মুক্ত স্বাধীন বাংলায়”।তিনি যেমন কাটমানি নিয়ে সরব হয়েছেন, তেমনই,আরও বহু সঙ্গীত শিল্পীর ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কর্মপদ্ধতির বিরুদ্ধে।


এই পরিস্থিতিতে নচিকেতার গান আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে।গানটি শুনলেই বোঝা যায়। চলতি কাটমানি বিতর্কই এই গানের অনুপ্রেরণা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের নেতাদের কাটমানি ফেরতের নিদান দেওয়ার পর থেকেই জনতা ময়দানে নেমে পড়েছে।তবে ঐ গান নিয়ে তৃনমূলের কেও মুখ্ খোলেননি।চলতি বিতর্কে জল ঢালতে কোলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটা প্রচার চলছে জনপ্রতিনিধি মানেই চোর।এসব বলে সব গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।কেন বলা হচ্ছে না জনপ্রতিনিধি মানে গভীর রাতে মরণাপন্ন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন যিনি।যিনি রেশন কার্ড করে দিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন,যিনি সমস্ত বিপদে পাশে থাকেন”।তাঁর মতে “কিছু ডাক্তার ,আইনজীবী ,আমলা,সাংবাদিক যেমন অসৎ,তেমনই কিছু জনপ্রতিনিধি আছেন যারা দুরনিতিগ্রস্ত।কিন্তু তাঁরা এক দু শতাংশও নয়”।


শনিবার নচিকেতার গানটি ভাইরাল হতেই সবার আগে টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।তিনি লেখেন, “মানুষের মনের কথা গানের মাধ্যমে সঠিক মাত্রার স্যাটায়ারের তড়কা লাগিয়ে সকলের সামনে নিয়ে আসার জন্য নচিকেতা দাকে আমার ধন্যবাদ”।যদিও ফেসবুকে নচিকেতা গানের ভিডিওর ওপর লিখে দিয়েছেন “আমার এই গান ভারতবর্ষের সকল ভণ্ড রাজনিতিকদের উদ্দেশ্যে।


Find out more: