একসময় আমি নিয়মিত কলকাতায় যাতায়াত করতাম। হাওড়া স্টেশনের কাছাকাছি , দেওয়ালের গায়ে, একটা লিফলেট লাগানো থাকত। অনেকবার আমার মোবাইলেও, ম্যাসেজ টা এসেছে। দেখতাম লিফ্লেট টার উপর, একটা অর্ধনগ্ন মেয়ের ছবি। নীচে লেখা , আমার সাথে বন্ধুত্ব করবে? তার নীচে লেখা , একাকীত্ব দূর করতে চান? মনের মতো বন্ধু পেতে চান? তাহলে দেরী না করে এখনি ফোন করুন এই নাম্বারে। দেখি নীচে দুটো মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে। আমি তার মধ্যে একটা নাম্বার মুখস্থ করে নিলাম। বাড়িতে এসে , যৌন আকাঙ্খা কৌতুহল চাপতে না পেরে- আমি নাম্বার টা মেলালাম। শুনলাম একটা নাড়ি কন্ঠ। খুবই নম্র ভাষায়, কথা বলছে। প্রথমে বলল , "ওয়েল কাম স্যার।  বলুন স্যার আমি আপনার জন্য কি করতে পারি?" 


আমি আর ভনিতা না করে বললাম," আমি একটা ভাল বন্ধু পেতে চাই।" - "অবশ্যই স্যার। কিন্তু আমদের এখানে আগে একটা দু - হাজার টাকা দিয়ে, রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আপনি যদি রাজি থাকেন , তাহলে আমি আমার এ্যাকাউন্ট নাম্বার টা পাঠাব।" আমাকে এ্যাকাউন্ট নাম্বার টা পাঠাতেই, আমি তাতে , দু-হাজার টাকা জমা করলাম। আমার ফোনে একটা রেজিষ্ট্রেশন আই-ডি পাঠাল। তার পরের দিন আমাকে একটা পার্কে যেতে বলা হল। সেই খানেই আমার কাঙ্খিত বান্ধবি টা আসবে। আরও জানাল, যে আপনি আমাদের সাথে থাকুন, এখানে মান-সম্মান, অর্থ সবই উপার্জন করতে পারবেন। আমি কথামতো পরের দিন সেখানে যাই। কিন্তু কেউ এলনা। আবার ওখান থেকে ফোন এল। আমি কি পরে এসেছি। আমি জানালাম, লাল সার্ট পরে এসেছি। আবার আমাকে  তিন হাজার টাকা আগের ওই এ্যাকাউন্টে জমা করতে বলল। আমি জমা করেই ফোন করলাম । আবার বলল, কালকে যেই মেয়েটা আপনার সাথে কাটাবে, তার এ্যাকাউন্টে আরো পাঁচ হাজার টাকা ফেলে , আপনি এই জায়গায় চলে আসবেন। ও পৌছে যাবে। আমি রেগে গিয়ে জানালাম। এই কথা তো আগে হয়নি! আমি আর টাকা দিতে পারব না। ওখান থেকে সোজাসুজি উত্তর এল, স্যার এখানে সব হাই প্রোফাইলের মেয়েরা বন্ধু হয়। এখানে টাকার কথা ভাবলে হবে না। বলে, ফোনটা কেটে দিল। আর ফোন তোলেনি। লজ্জায় পুলিশের কাছেও জানাতে পারিনি।


Find out more: