গতকাল যথন বুদ্ধিজীবীদের চিঠি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধিদলটি বুধবার দেখা করে মোদীর সঙ্গে। মূলত তিনটি দাবি নিয়ে বুধবার মোদীর মুখোমুখি হয় তৃণমূল— ১. পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ নামকরণ মেনে নেওয়া, ২. বিলগ্নিকরণ নীতি পুনর্বিবেচনা করা, ৩. অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্পোরেটাইজেশন না করা। বিষয়গুলি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এ দিন মিনিট পনেরো কথা হয় প্রতিনিধি দলের। তৃণমূলের দাবিগুলোর একটাও কেন্দ্র মানবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার অবকাশ মেলেনি বৈঠকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে রকম সৌজন্যমূলক আবহ তৈরি করেন বৈঠকের শুরুতেই, তাতে তৃণমূল সাংসদদের অনেকেই বেশ চমকে গিয়েছেন। বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট হলে ঢুকে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তৃণমূল সাংসদদের তাঁর পাশে বসতে বলেন বলে খবর। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার টেবিলের যে দিকে, সাংসদরা সবাই মিলে তার উল্টো দিকে কেন বসেছেন? প্রশ্ন করেন মোদী। তাঁর পাশের চেয়ারেই বসতে বলেন। পাশে বসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাগ করবেন না— হাসতে হাসতে এ রকমও বলেন মোদী। তৃণমূল সাংসদরাও প্রধানমন্ত্রীর রসিকতাকে হালকা ভাবেই নেন। তৃণমূলের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার পর বেরিয়ে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মোদী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন করমর্দনের জন্য। দু’জনে হাত মেলান। তার পরে অভিষেককে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনার চোখ কেমন আছে?’’ অভিষেক জানান যে, চোখ এখন ভালই আছে। তবে দু’বার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চোখ সে সময়ে সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দীর্ঘ চিকিৎসায় এখন সমস্যা কম। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী যে সে খবর রাখেন, তা তৃণমূল সাংসদদের অনেকেরই জানা ছিল না।


Find out more: