দিল্লিতে গিয়ে টলি তারকাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পরই শ্রীলেখা মিত্র হাল্কা ছলে একটি পোস্ট দেন ‘অভিনয়ের জন্য রাজনীতি, না রাজনীতির অভিনয়’। সেখানে বিভিন্ন কমেন্টের মধ্যে একটি কমেন্ট রূপাঞ্জনা মিত্রের। তিনি সেখানে লেখেন, ‘তুমি আর্টিস্টস ফোরামের মেম্বার তো? কার্ড রিনিউ করাও?...’ পরে এগিয়ে দেন আরও তীক্ষ্ণ প্রশ্ন, ‘শিল্পী-কলাকুশলী দিনের পর দিন পারিশ্রমিক না পেয়ে আন্দোলন করছেন, কই তাঁদের সাপোর্ট করার জন্য তোমাকে তো এক বারও দেখলাম না কোনও মিটিংয়ে?’ ফেসবুকেই চলতে থাকে বিবাদ। শ্রীলেখা এ ব্যাপারে আনন্দ প্লাসকে বলেন, ‘‘মনে হল, আমাকে এক প্রকার থ্রেট করা হচ্ছে ওখানে। আমি কোনও শিবিরে নেই বলেই বোধহয়। কাউকে তো বলিনি যে, তুমি কাল তৃণমূল ছিলে, আজ বিজেপি হয়ে গেলে! পার্সোনাল অ্যাটাকও করিনি।  মতবিরোধ হলে সেটা প্রকাশ করতে পারব না? ফেসবুক ওয়ালে কী লিখব, সেটা তো আমার স্বাধীনতা।’’

এপ্রসঙ্গে রুপাঞ্জনা বলেন  ‘‘শ্রীলেখাদির সঙ্গে আমার ১২ বছরের বন্ধুত্ব। নাম করে না লিখলেও ওঁর ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বাস ব্রাদার্সের যে অরাজকতা, রানা সরকারের পাঁচ কোটি টাকা বাকি রাখার ঘটনা, এ সবের বিরুদ্ধে লড়ব বলেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। আর্টিস্টস ফোরামকে অটোনমাস রাখতে চাই বলেই লড়ছি। উনি ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রশ্ন তুলেছেন যখন, ওঁর জানা উচিত, কোনও দলে যোগ দেওয়াটাও আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা। আলটপকা মন্তব্য করার আগে ওঁর একটু ভাবার প্রয়োজন ছিল।’’ 

মতাদর্শের পার্থক্য হতেই পারে।সেটা বাঙালির গা সওয়া। কিন্তু বন্ধুত্বের মাঝে রাজনৈতিক বিরোধ ও পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা কখনওই কাম্য নয়।


Find out more: