
অপর্ণা, বেনেগাল-সহ ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী গত ২৩ জুলাই খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁদের ‘স্বঘোষিত অভিভাবক’ বলেছেন এ দিনের চিঠিতে সই করা ৬১ জন বিশিষ্ট জন। শুক্রবার যে খোলা চিঠি লিখেছেন ৬১ জন, তাতে ১২টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে অপর্ণা সেন-সহ বিদ্বজ্জনদের অংশটি মুখ খোলেননি বলে অভিযোগ। সেই ১২টি ঘটনার মধ্যে ৭টি ঘটনাই পশ্চিমবঙ্গের।
এ দিনের চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার জন্য যখন পুরুলিয়ায় জগন্নাথ টুডুকে খুন করা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিলেন ওই বিদ্বজ্জনরা? যখন উর্দু ভাষায় পড়াশোনা করবেন না আর বাংলা, ভূগোল ও কম্পিউটার শিক্ষার জন্য শিক্ষকের দাবি করায় ইসলামপুরে দাড়িভিট হাইস্কুলের ছাত্রদের গুলি করা হয়েছিল, তখন কেন অপর্ণা-সহ বিদ্বজ্জনদের ওই অংশটি প্রতিবাদ করেননি, এ দিনের চিঠিতে সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। কেন গত লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালির হিন্দুদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হলে বিদ্বজ্জনদের ওই অংশটি মুখ খোলেননি, তোলা হয়েছে সেই প্রশ্নও।
৬১ জন বিদ্বজ্জনের লেখা খোলা চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘উপজাতি ও প্রান্তিক মানুষরা যখন নকশালপন্থীদের
হামলার শিকার হয়েছেন, তখন ওঁরা (আগের চিঠির বিদ্বজ্জনরা) চুপ থেকেছেন।
সন্ত্রাসবাদীরা যখন কাশ্মীরে স্কুল পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তখনও ওঁরা মুখে কুলুপ এঁটে থেকেছেন।
দেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার কোনও পরিকল্পনা, কোনও চক্রান্তের বিরুদ্ধেই ওঁদের কখনও
সরব হয়ে দেখা যায়নি। দেশের কয়েকটি সামনের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সন্ত্রাসবাদীদের
স্লোগান শোনা গিয়েছে, তখনও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার প্রয়োজন বোধ করেননি ওই বিদ্বজ্জনরা।’’