জম্মু-কাশ্মীরে এই পরিস্থিতির মধ্যেই সীমান্তে বড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের কেরান সেক্টরে ৭ পাক নাগরিকের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বড়সড় হামলার ছক বানচাল করে সেনার গুলিতে নিকেশ হয় সাত BAT সদস্য। লাইন অফ কন্ট্রোলে তাদের দেহ পড়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভারী গোলা বর্ষণের মধ্যে তাদের দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি বলেই সেনা সূত্রে খবর। গত ৩৬ ঘণ্টায় সেনার এই সাফল্যে অনেকটাই স্বস্তিতে দেশবাসী। আগাম খবর পাওয়ার পরই সতর্ক হওয়ায় বড়সড় জঙ্গিহানা রোখা গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

অন্যদিকে, জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা বলে অমনরনাথ যাত্রা থেকে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ফিরে আসার জন্য বিবৃতি জারি করা হয়েছে। শুধু কি সেই কারণেই নাকি অন্য কোনও কারণ আছে ? কেন এতো আধা সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে কাশ্মীরে ? এই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিভ্রান্তি। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা রাজনাথ সিংহের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কাশ্মীর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকার কি সংবিধানের ৩৭০ বা ৩৫এ ধারা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করতে চলেছে? না কি জম্মু-কাশ্মীরকে তিন প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা বা বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা হবে? কিন্তু উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। সেনা ও গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এ সব কোনও জল্পনাই সত্যি নয়। কাশ্মীরে বড় রকমের নাশকতার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন।  

 



Find out more: