
কার্যত যুদ্ধকালীন ততপরতা জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে
অমরনাথ যাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত ফিরে আসার জন্য বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তারপরই যুদ্ধকালীন
তৎপরতায় ৬১২৬ জনকে সরানো হয়। এয়ারপোর্ট অথরিটি জানিয়েছে, এয়ারলিফটিং করে
অনেককে সরিয়ে আনা হয়েছে। কারণ ভারত মনে করছে, যে কোনও সময়ে জঙ্গি হামলা হতে পারে। এক
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৩২টি বিমানে
অমরনাথের ৫৮২৯ জন পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের ফেরানো হয়েছে। বায়ুসেনার বিমানেও
এয়ারলিফটিং করে আনা হয়েছে ৩৮৭ জনকে। কাশ্মীর উপত্যকা থেকে তাঁদের জম্মু, পাঠানকোট, হিন্দেন বায়ুসেনা
ঘাঁটিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা বলে অমনরনাথ যাত্রা থেকে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ফিরে আসার জন্য বিবৃতি জারি করা হয়েছে। শুধু কি সেই কারণেই নাকি অন্য কোনও কারণ আছে ? কেন এতো আধা সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে কাশ্মীরে ? এই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিভ্রান্তি। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা রাজনাথ সিংহের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কাশ্মীর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকার কি সংবিধানের ৩৭০ বা ৩৫এ ধারা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করতে চলেছে? না কি জম্মু-কাশ্মীরকে তিন প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা বা বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা হবে? কিন্তু উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। সেনা ও গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এ সব কোনও জল্পনাই সত্যি নয়। কাশ্মীরে বড় রকমের নাশকতার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন।