জম্মু-কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন, সেই সঙ্গে অমরনাথ যাত্রীদের দ্রুত ফিরে আসার
নির্দেশ। সব মিলিয়ে বারবার কেন্দ্রের বিবৃতি দাবি করছিল বিরোধীরা। এমনকী কংগ্রেস
নেতা গুলাম নবি আজাদ সংসদে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করবেন বলে
জানিয়েছিলেন। কিন্তু সংসদে সকাল এগারোটার পরই সব উত্তর দিল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলেই কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বাতিল করা হল। অর্থাত
এতদিন যে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছিল জম্মু-কাশ্মীর তা আর এদিনের পর থাকল না। শুধু তাই
নয়, জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ এই দুটি আলাদা রাজ্যের প্রস্তাব
সংসদে পেশ করলেন অমিত শাহ। দুটি জায়গাতেই দুজন লেফটেন্যান্ট গর্ভনর নিয়োগ করা হবে।
এককথায় যে জল্পনা গতকাল থেকে চলছিল কার্যত সেটাই সত্যি হল। শনিবার মেহেবুবা মুফতির বাড়িতে সর্বদল বৈঠক হওয়ার পরই একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে গৃহবন্দী করা হয় প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহেবুবা মুফতিকে। তারপর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী জারি হয় 144 ধারা। এরপর সোমবার সকালেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই জানিয়ে দেওয়া হয় সংসদে সকাল এগারোটা নাগাদ বড় ঘোষণা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরই পরিষ্কার হয়ে যায় বিষয়টি। অনুমান করা হয়, সম্ভবত 370 ধারা বাতিলের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এবং সংসদ শুরু হতেই সেই ঘোষণাই করলেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, 1950 সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় 370 ধারায় ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়া হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরকে। কিন্তু সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না বরং ‘টেম্পোরারি প্রভিশন’ ছিল। এবং ওই ধারার 3 নং উপধারায় বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই আজ 370 ধারা বাতিল হলো।