উপত্যকায় ইন্টারনেট, ফোন, কেবিল সমস্তকিছু বন্ধ।একমাত্র ডিশ অ্যান্টেনা থাকলে তবেই টিভি চলার কথা।কাজেই এমতবস্থায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ উপত্যকার কজন মানুষ শুনতে পেরেছেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন যে ঈদের সময় কাশ্মীরের বাইরে থাকা সব মানুষ ঘরে ফিরতে পারবেন।সরকার সে জন্য সর্বতভাবে চেষ্টা করবে।
৩৭০ ধারা রদ করার পর ঈদ এখন সবথেকে বড় ভাবনার বিষয় সরকারের কাছে।এই সময় কার্ফু তুলে না নিলে তা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে, আবার অন্যদিকে কার্ফু শিথিল করলে বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে।এমতাবস্থায় সরকার চেষ্টা করছে মুসলিমদের কাছে টানার।প্রধানমন্ত্রী এইদিন সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা স্বীকার করেই বলেন সাধারণ মানুষই এর মোকাবিলা করবে।
দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই মোদী বলেছিলেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ-এর সঙ্গে এ বার তাঁর নতুন মন্ত্র হবে সবকা বিশ্বাস।সংসদে বিরোধীরা প্রশ্ন তুললে বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা বোঝানর চেষ্টা করেন এটি মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়। আজ প্রধানমন্ত্রীও কাশ্মীরের বীর পুত্র-কন্যাদের তালিকা খুলে প্রথমেই উল্লেখ করেন, পুঞ্চ জেলার মৌলবি গুলাম দিন-এর কথা। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে পাক অনুপ্রবেশকারীদের খবর সেনাকে জানিয়েছিলেন তিনিই। জঙ্গিদের মেরে কীর্তিচক্র জয়ী রাজৌরির রুকসানা কওসর, পুঞ্চে জঙ্গিদের হাতে নিহত ঔরঙ্গজেবের কথাও মনে করিয়েছেন মোদী। বলতে ভোলেননি, ঔরঙ্গজেবের দুই ভাই সেনায় যোগ দিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অনেক অফিসার-জওয়ানও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন।
ঈদ নিয়ে মোদী আশ্বাস দিলেও কোন কিছুই এখনো চূড়ান্ত নয়।তবে রসদে টান যাতে না পরে তার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।