নিম্নচাপের কারণে প্রায় ৫-৬ দিন বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। তবে ঝাড়খণ্ডের দিকে নিম্নচাপ সরে যাওয়ায় দুদিন বৃষ্টি হয়নি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে আবার মৌসুমী বাযু সক্রিয় হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌসুমী অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপরে সরে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই রাজস্থান থেকে দীঘা হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ওই মৌসুমী অক্ষরেখা। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

 

অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টির কারণে বানভাসী মহারাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রাম তো বটেই, ভেসে গিয়েছে বহু শহর ও মফস্‌সল এলাকাও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’টি জেলা। কোলহাপুর ও সাংলি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, লাগাতার প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় গত সাত দিনে পশ্চিম মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৬ জনের। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় গত সোমবার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জানা গিয়েছিল, থানে এবং নবি মুম্বইয়ে ২৫০ মিলিমিটারের মোত বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। রাজ্য সরকারের বায়ুসেনার কপ্টারের সাহায্য নিয়ে ৫৮ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এই অবস্থা। তবে সবগুলি পাম্পিং স্টেশন কাজ করতে শুরু করলে জল দ্রুতই নেমে যাবে বলে তাঁর আশা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। জলের তোড়ে ১৬ বছরের এক কিশোর ভেসে গিয়েছে। তার খোঁজ চলছে। অন্যদিকে সমুদ্রের দিকে না যাওয়ার সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে, কারণ আগামী দু’দিন সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নৌ বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে প্রশাসন। আবার রেল লাইনে গাছ পড়ার জন্য বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। দৃশ্যমানতা সমস্যার জন্য কয়েকদিন আগেই ফ্লাইট বাতিল করাও হয়েছিল। গত মঙ্গলবার হালকা রোদের ঝলক দেখা গেলেও তা নিমেশেই উধাও হয়ে যায়।



Find out more: