গতকাল শারীরিক অসুস্থার কারণে দিল্লির এআইএমএসে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্যবর্ধন এবং লোকসভার
স্পিকার ওম বিড়লা। ভর্তি করা হয় কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে। তবে শারীরিক
পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট কাটেনি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর। এদিন সকালে
হাসপাতালে যান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। প্রায় মিনিট কুড়ি ছিলেন হাসপাতালে।
সেখানে অরুণ জেটলির শারীরিক অবস্থান সমস্ত খোঁজ নেন উপরাষ্ট্রপতি। বালবাহুল্য মোদী
সরকার ওয়ানে অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন নোটবন্দি এবং জিএসটির মতো বলিষ্ঠ
পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত আট টায় দূরদর্শনে জাতীর উদ্দেশ্য ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩৭০ ধারা রদ নিয়েই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেখানেই ইদে ঘরে ফেরার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য গত সোমবার রাজ্যসভায় জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার নিয়ে যে তুলকালাম হয়েছিল, তার ২৪ ঘণ্টা পরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশ এবং জম্মু-কাশঅমীর পুনর্গঠন বিল পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। এদিন অধিবেশনের অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কোনও আইনি জটিলতা নেই। এরপরএই প্রথম প্রশ্ন তোলেন অধীর চোধুরি। তিনি বলেন, নিয়ম ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ভাগ করা হয়েছে। সিমলা চুক্তি, লাহোর চুক্তির পরও কী করে এটা আভ্যন্তরীণ বিষয় হলো ? এরপর জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্র আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এর জবাব দিতে গিয়ে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতবারই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ততবারই পাক অধীকৃত কাশ্মীর এবং আকসাই চিনকে নিয়ে বলা হয়েছএ। জম্মু-কাশ্মীরকে সম্পূর্ণভাবে ভারতভুক্তি করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এই প্রস্তাব এবং বিল ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, তিনি জানিয়ে দেন এই ভূখণ্ডের জন্য জীবন দিতেও তিনি প্রস্তুত।