
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী, বিলাবল ভুট্টো বা শাহবাজ় শরিফ প্রত্যেকেই ডাক দিয়েছেন কাশ্মীরের নির্যাতিতদের পাশে থাকার।পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবী ভারত সামরিক অভিযান চালিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের চেষ্টা করছে।তিনি বলেন ‘‘শুধু কাশ্মীরে না থেমে তাদের লক্ষ্য পাকিস্তান দখল! ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার বার্তা— তোমরা এগোলে ভুল করবে। কারণ তোমাদের প্রতিটা ইটের জবাব আমরা পাথরে দেব। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব!’’সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বলেন ‘১৯৪৭-এর একটি কাগজের টুকরোয় (রাজা হরি সিংহের সঙ্গে দিল্লির চুক্তি) কাশ্মীরের বাস্তবতা বদলে যায়নি, এখনকার পদক্ষেপেও বদলাবে না, ভবিষ্যতেও নয়। কাশ্মীর নিয়ে সমঝোতার জায়গা নেই।’
ইমরান খান আরও বলেন ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য এখনই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক!’’ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে ইমরান দাবি করেন— ‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়াটা মোদীর কৌশলগত কেলেঙ্কারি। শেষ তাসটি আগেই খেলে ফেলেছেন মোদী। কাশ্মীর সমস্যাকে এত দিন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করে এসেছে দিল্লি।কিন্তু মোদীর এই পদক্ষেপে গোটা দুনিয়ার নজরে চলে এল কাশ্মীরিদের সমস্যা। কাশ্মীরি ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁদের দূত হয়ে কাজ করে যাব আমি।’’
অন্যদিকে বিজেপি সুর চড়িয়েছে যে ‘‘পাকিস্তান যেন কংগ্রেসের সুরে কথা বলছে!কংগ্রেস এর ব্যাখ্যা দিক।’’
অন্যদিকে পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল ভুটটো বলেন আর একধাপ এগিয়ে ইমরান কাশ্মীর সমস্যাকে যথোচিত গুরুত্ব দিচ্ছেননা।তাঁর ছেলে বলেন ‘‘অন্য সব বিষয়ে মতভেদ থাকলেও কাশ্মীর নিয়ে আমরা সরকারের পাশে আছি, দরকারে যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করব।’’