দিনের পর দিন দেশে জনসংখ্যা বেড়ে চলা যে বার্নিং ইস্যু তা সরকার- বিরোধী সব পক্ষই স্বীকার করে। এ নিয়ে বহু অর্থনীতিবিদ আলোচনা করেছেন। এমনকী সংবাদমাধ্যমেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এবার সেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে উঠে এলো। অনেকটা উদ্বেগের সুরেই তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা এবং সচেতনতা প্রয়োজন। এমনকী এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়কেই একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি এদিন ভাষণে বলেন, যাঁরা ছোট পরিবারের নীতি মেনে চলছেন তাঁরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। এটা দেশপ্রেম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি দেশের অন্যতম সমস্যা। এই বিষয়ে আলোচনা এবং সচেতনতা প্রয়োজন। এমনকী এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়কেই একযোগে কাজ করতে হবে।

 

অন্যদিকে, তিনি বারবারই বলেছেন, দেশের মানুষ তথা দেশবাসী তাঁকে যে কাজ দিয়েছেন সেই কাজই তিনি করছেন। এমনকি দেশবাসী তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্বই তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি লালকেল্লা থেকে হুঙ্কার ছেড়ে রাখলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সারা দেশ এক হয়ে লড়ছে, কোনও ভাবে কোনও পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া চলবে না। এককথায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে একের পর এক পন্তা অবলম্বন করেছে। তবে আজকে লালকেল্লা থেকে যে চমক তিনি দিলেন, তা কিন্তু ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পর এর গুরুত্ব অনুভূত হয়েছিল। দেশের প্রতিটি সামরিক বিভাগ পরিচালনা ভার এক জন সিঙ্গল পয়েন্ট অফিসারকে দেওয়া হোক। দেশের নিরাপত্তায় ফাঁকফোঁকড় কোথায় আছে তা খুঁজতে যে কমিটি গঠন হয়েছিল সেই কমিটি থেকেই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০১২ সালে নরেশ চন্দ্র টাস্ক ফোর্স থেকে চিফ অফ স্টাফ কমিটির এক জন চেয়ারম্যান চাই বলে দাবি জানানো হয়েছিল। সেই সমস্ত পরামর্শকে মান্যতা দিয়েই এদিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটির।

 



Find out more: