গত ফেব্রুয়ারি মাসে চিকিতসার জন্য আমেরিকা
গিয়েছিলেন। তারপর গত লোকসভা নির্বাচনে শারীরিক অসুস্থার জন্য মাঠে লড়াইয়ে
নামেননি। এবং গত ৯ অগাস্ট গুরুতর অসুস্ত হয়ে দিল্লির এআইএমএসে ভর্তি হন প্রাক্তন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু গতকাল অর্থাত শুক্রবার এআইএমএসের পক্ষ
থেকে খবর পাওয়া যায়, তাতে জানানো প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শারীরিত অবস্থা
অত্যন্ত সঙ্কটজনক। এমনিতেই জানা গিয়েছিল আপাতত 'হেমোডাইনামিক্যাল
ভিত্তিতে' তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। শুক্রবার
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেখতে যাওয়ার কথাও ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট গুরুতর অবস্থায় দিল্লির এআইএমএসে ভর্তি হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। খবর শোনার পরই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানম্ন্তরী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও। পরের দিন সকালে প্রায় ২০ মিনিটের মতো শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। উল্লেখ্য শারীরিক অসুস্থার কারণেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়েননি অরুণ জেটলি। তবে সরকারের সবসময় পাশে আছেন বলে জানান তিনি। মোদী সরকার ১ –এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন এই প্রবীণ নেতা। তাঁর আমলেই জিএসটি, নোটবন্দির মতো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগই মোদী সরকারের ওয়ান এর এক বলিষ্ঠ যোদ্ধার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুষমা স্বরাজের বাড়িতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে চোখে জলের ছবি ধরা পড়েছিল টেলিভিশনের ক্যামেরায়। পরে যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। সুষমা স্বরাজের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।