ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হবে জম্মু-কাশ্মীর। উঠবে
নিষেধাজ্ঞাও। আগামী সোমবার থেকেই খুলে যাবে স্কুল। খুলবে সরাকির অফিসও। এমনকী আজ
রাত থেকেই ল্যান্ড চালু হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের
মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীর
প্রশাসনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, “রাজ্যের ২২টি
জেলার মধ্যে ১২টিতে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। পাঁচটি জেলায় রাত্রিকালীন কিছু নিষেধাজ্ঞা
থাকছে।” সোমবার থেকে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন
মুখ্যসচিব।
অন্যদিকে, গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলেই এই রদ করা হচ্ছে বলে জানান অমিত শাহ। তারপর জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে গঠন করা হবে বলে জানানো হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা, ফোন পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতেই অর্থাত উপত্যকায় অবিলম্বে যাতে কার্ফু তুলে নেওয়া হয়, টেলিফোন সংযোগ ফিরিয়ে আনা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে আদালতে আবেদন করেছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুণাওয়ালা। সেই মামলারই শুনানি ছিল। বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন আবেদনটির শুনানি চলছিল। সেই শুনানিতেই বেঞ্চ জানায়, আমরাও চাই উপত্যকা স্বাভাবিক হোক। তবে রাতারাতি সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও সময় দিতে হবে। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।