গত শনিবার কল্যাণীতে স্টেশন এলাকায়
প্যারাটিচাররা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। সেই সময়ে রাতের
অন্ধকারে আলো নিভিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়েই এদিন সরব
হন সায়ন্তন বসু। তিনি এই ঘটনাকে জালিওয়ানাবাগের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সেই সঙ্গে এই ঘটনা অত্যন্ত বর্বরচিত বলে তিনি সরব হন। এই ঘটনার পরই ট্যুইটে সরব হন
অপর্ণা সেন। তারপরই সায়ন্তন বসু বলেন, উনি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা
হরিয়েছেন। সায়ন্তন আরও বলেন, শিক্ষক নিগ্রহ কাণ্ডে উনি আমাদের সমর্থন করছেন বটে, কিন্তু আমাদের ওনার
সমর্থন চাই না। অপর্ণা সেনের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান স্থির। তা উনি সমর্থনই করুন
বা বিরোধিতা।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সায়ন্তন বসু। বিজেপি সরকার এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কল্যাণীতে মহিলা শিক্ষকদের নিগ্রহকারী পুলিশের ব্যবস্থা নেবে বিজেপি সরকার। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে একথাই জানালেন দলের মুখপাত্র সায়ন্তন বসু।
অন্যদিকে, গত কয়েক মাস ধরেই ছাত্রীদের মিড ডে মিলে পাতে ফড়ছে ফ্যান ভাত. কখনও আবার আলুসিদ্ধ ভাত। অথচ ডিম কেনা হয়েছে ২৫ হাজার এবং ২৫৬ বস্তা চাল কেনা হয়েছে। সর্বত্র অর্থাত ডিআই থেকে ডিএম সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এবং নুন ভাত, ফ্যান ভাত, আলু সিদ্ধ ভাত যে খাওয়ানো হচ্ছে তা লেখাও হচ্ছে মিড মিল নিয়ে স্কুলের বোর্ডে। অর্থাত যে পুষ্টির জন্য এই মিড ডে মিল চালু সেই পুষ্টিই পাচ্ছে না এই স্কুলের ছাত্রীরা। হ্যাঁ, মিড-ডে মিল নিয়ে এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হুগলীর চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে। আর এই খবর হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছনো মাত্রই স্কুলে হাজির হলেন তিনি। সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তারপরই লকেটের হুঙ্কার, "ছাত্রীদের মুখের খাবার যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না।" সেই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, এই অচলাবস্থা যত দ্রুত সম্ভব যাতে মেটানো যায় তিনি সেই চেষ্টা করবেন।