২০ অগাস্ট। দেশের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মদিনে ট্যুইটে শ্রদ্ধা
জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৮৯
সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন রাজীব গান্ধী। এদিন সকাল থেকেই
বীরভূমিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজীব জায়া সনিয়া গান্ধী, রাজীব
পুত্র রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহ বিশিষ্ট কংগ্রেস
নেতৃত্ব। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। এখন
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার রাশ নরেন্দ্র মোদীর হাতে থাকলেও অনেক কংগ্রেস নেতা-নেত্রীর মত,
দেশকে প্রথম ডিজিটাল মুখী করেছিলেন রাজীব গান্ধীই। এদিন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে
ট্যুইটে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী রাজীব
গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই।’
অন্যদিকে, গতকাল কার্যত চাপে পড়ে ট্যুইট প্রত্যাহার করে পিআইবি। গত পরশু নেতাজীর একটি উক্তি দিয়ে মৃত্যুদিন হিসাবে ট্যুইট করে। তারপরই শুরু হয় চরম বিতর্ক। ক্ষুব্ধ হন অনেক বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। এনকী এ রাজ্যের নেতা-নেত্রীরাও বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি। আরএসএস নেতারাও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। এরপরই আজ ট্যুইট প্রত্যাহার করল পিআইবি। এমনকী নেতাজী পরিবারের সদস্য এবং বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু এই ট্যুইট প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, "কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। কোথাও কোনও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে।" উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকে আজকের দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 'পুণ্যতিথি' হিসেবে উল্লেখ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে দেখা যায় অনেক বিজেপি নেতাকেই।
প্রসঙ্গত, গত পরশু অর্থাত ১৮ অগাস্ট ১৯৪৫ সালে তাইহুকে বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়তে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসকে। তারপর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন থেকেই ধরে নেওয়া হয় ওই দিন নেতাজীর মৃত্যু ঘটে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও জোরলা প্রমাণ মেলেনি তাঁর মৃত্যু নিয়ে। এ নিয়ে পরবর্তীকালে একাধিক কমিশনও বসানো হয়। আবার বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন ওই দিন নেতাজীর মৃত্য ঘটেনি। তাই এটি এখনও পর্যন্ত একটি বিকর্কিত বিষয়।