চুঁচুড়া বালিকা বানীমন্দির স্কুলে মিড-ডে
মিল কাণ্ডে সাসপেণ্ড করা হলো দুজনকে। প্রাক্তন টিআইসি শমিতা কুশারী এবং বর্তমান
টিআইসি পূর্বা মুখার্জীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা শাসক ওয়াই
রত্নাকর রাও। সেই সঙ্গে এই ঘটনার জেরে হুগলি জেলার এক হাজার স্কুলে জেলা প্রশাসন খতিয়ে
দেখবে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ছাত্রীদের মিড ডে মিলে পাতে ফড়ছে ফ্যান ভাত. কখনও আবার আলুসিদ্ধ ভাত। অথচ ডিম কেনা হয়েছে ২৫ হাজার এবং ২৫৬ বস্তা চাল কেনা হয়েছে। সর্বত্র অর্থাত ডিআই থেকে ডিএম সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এবং নুন ভাত, ফ্যান ভাত, আলু সিদ্ধ ভাত যে খাওয়ানো হচ্ছে তা লেখাও হচ্ছে মিড মিল নিয়ে স্কুলের বোর্ডে। অর্থাত যে পুষ্টির জন্য এই মিড ডে মিল চালু সেই পুষ্টিই পাচ্ছে না এই স্কুলের ছাত্রীরা। হ্যাঁ, মিড-ডে মিল নিয়ে এমনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হুগলীর চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে। আর এই খবর হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছনো মাত্রই স্কুলে হাজির হলেন তিনি। সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তারপরই লকেটের হুঙ্কার, "ছাত্রীদের মুখের খাবার যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না।" সেই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, এই অচলাবস্থা যত দ্রুত সম্ভব যাতে মেটানো যায় তিনি সেই চেষ্টা করবেন।
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিত ? জানা গেল স্কুলে কোনও টিচার ইনচার্জই নেই। পুরো দায় গিয়ে পড়েছে স্কুলের পরিচালন সমিতির উপরে। আবার পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, স্কুলেরই চার শিক্ষিকার উপর। তিনি বলেন, ৪ জন শিক্ষিকার জন্য মিড-ডে মিলে অচলাবস্থা হয়েছে। পরিচালন সমিতির ঠিক করে দেওয়া টিআইসিকে অন্য শিক্ষিকারা মানছেন না। এরফলে সই করার অথরিটি না থাকায় এই অবস্থা। অথচ স্কুলে টাকা আছে বলেই তাঁর বক্তব্য। কিন্তু কেউ কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছেন না।