১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপি শিবিরে নাম লেখানোর পর মঙ্গলবার রাজ্য দফতরে শোভন-বৈশাখীকে বরণ করে নিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর যোগ দেওয়ার পরই শোভন বললেন, ‘পথ হারা নদী থেকে পাড়ে উঠেছি’। তারপর শোভন বলেন, ৪০ বছর ধরে রাজনীতিতে নানা জায়গায় দায়িত্ব সামলেছি। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। পদ হারানো নদী থেকে পাড়ে উঠেছিলাম। যন্ত্রণাময় পরিস্থিতিতে গত ৮ মাস দলীয় বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মসূচিতে ছিলাম না। দিলীপ ও জয়প্রকাশ দা এসে বললেন, ক'দিন আর বাড়িতে বসে থাকবে।' শোভনের কথায়, 'বাংলায় বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের উপরে সংগঠিত সন্ত্রাস বাম আমলেও হয়নি। আজ বাংলার মানুষ বদলের চিন্তা করছেন। সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন লোকসভা ভোটে। 

 

প্রসঙ্গত, জল্পনা চলছিল, আর সেই জল্পনার অবসান হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ১৪ অগাস্ট। ওই দিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিষ্ফোরক অভিযোগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপরই হামলার আশঙ্কায় শোভন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আবেদন জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তিনি এখন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই শোভনের নিরাপত্তা কমিয়ে দেয় রাজ্য। তুলে নেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের ৬ নিরাপত্তারক্ষীকে।

 



Find out more: