বুধবার গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাঁকে সিবিআই বিশেষ আদালতে তোলা হয়। তারপর ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, চিদম্বরমের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই-এর হয়ে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এটি একটি আর্থিক দুর্নীতির ‘ক্লাসিক কেস’। সেই সঙ্গেই চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়। যদিও অভিযোগ খণ্ডন করেন চিদাম্বরমের হয়ে দাঁড়ানো বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। 

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সদর দফতরে প্রায় ২৭ ঘণ্টা অজ্ঞাতবাসে থাকার পর হাজির হন পি চিদাম্বরম। সেখানে নিজেকে নির্দোষ এবং তাঁর সঙ্গে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু সিবিআই তাঁর পিছু নেয়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাড়ি পৌঁছলে সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির মূল ফটক বন্ধ। সিবিআই অফিসাররা বাড়ির প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢোকেন। গ্রেফতার হন পি চিদাম্বরম।

অন্যদিকে, জীবনে প্রথম লক আপে রাত কাটালেন তিনি। কিন্তু কেমন ছিল সেইর রাত ? জানতে আগ্রহী অনেকেই। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, দিল্লির সিবিআইয়ের সদর দফতরের ১০ তলায় একটি সুইটে রাখা হয়েছিল তাঁকে। বাথরুম ছাড়া সমস্ত কোনাতেই সিসিটিভি ছিল। এবং তাঁকে ৬ ঘ্টার মতো সময়ও দেওয়া হয় ঘুমানোর জন্য। যতদূর সূত্রের খবর, বুধবার রাতে তাঁকে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। ছিল নিরাপত্তারক্ষীও। পরে মেডিক্যাল চেক আপ করা হয়। কিন্তু তিনি একটি প্রশ্ন করেন সিবিআই অফিসারদের। ঘুমানোর ঠিক আগে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদ করেন, ‘ইঁদুর নেই তো?’ উত্তরে সিবিআই আধিকারিকরা জানান, ঘর পুরোপুরি স্যানিটাইজ করা। ইঁদুর-আরশোলা-টিকটিকি— এ সবের উপদ্রব নেই। তাতে নিশ্চিন্ত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।

 



Find out more: