একুশে জুলাই শহিদ দিবসে গেলাম না। দলের দুর্দিনে, টিউশনি করে যেই ছেলেটা ,গাড়ি ভর্তি লোক নিয়ে যেত। নিজে খরচা করে , গাড়ি ভাড়া করে, মাংস ভাত তৈরী করে, খুব আনন্দের সাথে
— সকলে মিলে মিশে , স্লো-গান দিতে দিতে , শহিদ দিবসে ধর্মতলায় পৌছে যেত। বিরোধীদের ভয় থাকলেও, উন্মাদনা আর উৎসাহ ছিল প্রচন্ড। প্রতি বছরই শহিদ দিবস হয় । আজও শহিদ দিবস হয়। দল শাসন ক্ষমতায় এসেছে। আরও কত লবি তৈরি হয়েছে। দলীয় নেতা দের গুরুত্ব বেড়েছে। মন্ত্রী হয়েছে, কাউন্সিলর হয়েছে। শুধু আমার মুল্য টা কমেছে । আজ পর্যন্ত সরকারি কোনো প্রকল্পের আওতায় আসিনি। একটা কোন সুবিধা পাইনি। একটা কোন চাকরী জোটে নি।বেকারত্বের সাথে লড়াই করতে করতে আমি হেরে গেছি।উপরন্ত দলের অন্যান্ন কর্মীদের সাথে, বৈরীতা তৈরী হয়েছে। অনেক মানুষের কাছে খারাপ আর বদনাম হয়েছি। যারা আমার হাত ধরে দলে নেমেছে। তারাই আমাকে তাদের সাথে নিয়ে কাজ করতে নারাজ। আমার উপর নেতৃত্ব আমার আর খোঁজ নেয়না। আমি অচল। তাই এবারের শহিদ দিবসে গেলাম না। ভাবলাম আমি না গেলে! একুশের সমাবেশের কোন অসুবিধা হবে কি? বড় কষ্ট লাগে, দলের দুর্দিনে আমি তখন প্রানের মায়া করিনি । দল যখনই ডেকেছে ছুটেছি । যখন সুবিধা পেয়ে সবাই সরে পরবে তখন আমরাই পরে থাকব ।