প্রাক্তন
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি
ট্যুইটে লেখেন, সব রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিলেন শ্রদ্ধার মানুষ ছিলেন অরুণ
জেটলি। ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানান
মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২৪ অগাস্ট দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করনে এই দূরদর্শী নেতা। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যখন প্রবল মোদী হাওয়া তখন তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবুও তিনি মোদী জমানার ঘনিষ্ঠ বত্তেই ছিলেন। ছিলেন অর্থমন্ত্রী হিসাবেই। তবে রাজনীতিতে হাতে খড়ি জরুরি অবস্থায় জেলে যাওয়া থেকে। ১৯ মাস জেলে কাটিয়েছেন। তবে যাঁদের সঙ্গে জেলে কাটিয়েছেন তারপর থেকে তাঁর জীবনদর্শনই পাল্টে গিয়েছে। জেলে ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, নানাজি দেশমুখের মতো প্রবাদ প্রতিম নেতারা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওকালতির মতো সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকেও। তবে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে সাফল্য তাঁর খুব একটা আসেনি। শেষ বার ভোটে জিতেছিলেন ১৯৭৪ সালে দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। পরের চারদশক অবশ্য তিনি ব্যাকরুম স্ট্র্যাটেজিস্ট ছিলেন পার্টির জন্য। নির্বাচনের জন্য প্রচার কৌশল এবং রণকৌশল তৈরির কারিগর ছিলেন তিনি।
তারপর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন মোদী জমানায়। সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর জমানাতেই জিএসটি, নোট বন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার ওয়ান। কিন্তু মন্ত্রকে থাকাকালীন অরুণ জেটলিকে বিদেশ যেতে হয়েছিল চিকিতসার জন্য। এমনকী শারীরিক অসুস্থার জন্য ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনেও তিনি ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে কোনও দিন দলের প্রয়োজনে দূরে থাকেননি।