
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। সেখান থেকে পাঠানো শোক
বার্তায় তিনি লেখেন, একজন মূল্যবান
বন্ধুকে হারালাম। ওঁনাকে চিনি কয়েক দশক ধরে। শেষদিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে অরুণ
জেটলির সম্পর্ক ছিল অটুট। ছাত্রনেতা হিসেবে জরুরি অবস্থায় সময় তাঁর আন্দোলন ছিল
চোখেপড়ার মতো। ক্রমে দলের এক লড়াকু মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর আমলেই অর্থনীতিতে
উন্নতি হয়েছে, প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে। এবং দেশের মানুষের সহায়ক আইন তৈরি হয়েছে। ওঁর চলে যাওয়া
খুবই বেদনার। ওর স্ত্রী সঙ্গীতা ও ছেলে রোহনের সঙ্গে কথা বলে শোকজ্ঞাপণ করেছি।
প্রসঙ্গত, ২৪ অগাস্ট দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করনে এই দূরদর্শী নেতা। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যখন প্রবল মোদী হাওয়া তখন তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবুও তিনি মোদী জমানার ঘনিষ্ঠ বত্তেই ছিলেন। ছিলেন অর্থমন্ত্রী হিসাবেই। তবে রাজনীতিতে হাতে খড়ি জরুরি অবস্থায় জেলে যাওয়া থেকে। ১৯ মাস জেলে কাটিয়েছেন। তবে যাঁদের সঙ্গে জেলে কাটিয়েছেন তারপর থেকে তাঁর জীবনদর্শনই পাল্টে গিয়েছে। জেলে ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, নানাজি দেশমুখের মতো প্রবাদ প্রতিম নেতারা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওকালতির মতো সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকেও। তবে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে সাফল্য তাঁর খুব একটা আসেনি। শেষ বার ভোটে জিতেছিলেন ১৯৭৪ সালে দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। পরের চারদশক অবশ্য তিনি ব্যাকরুম স্ট্র্যাটেজিস্ট ছিলেন পার্টির জন্য। নির্বাচনের জন্য প্রচার কৌশল এবং রণকৌশল তৈরির কারিগর ছিলেন তিনি।