আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই(আই) হেলিকপ্টার যুক্ত হতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনাতে।

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পাঠানকোটের বায়ুসেনাঘাঁটিতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সেখানেই বায়ুসেনায় হেলফায়ার ও স্ট্রিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্রে সুসজ্জিত হেলিকপ্টারগুলির অন্তর্ভুক্তি হতে চলেছে, যার পর আকাশপথে শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালানো আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।   

 ২০১৫-র সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা বোয়িংয়ের সঙ্গে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। ১১০ কোটি মার্কিন ডলারে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকারও বেশি। এখনও পর্যন্ত মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে ৮টি হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে বায়ুসেনা। ২০২০-র মধ্যে বাকিগুলি এসে পৌঁছবে। তাই আপাতত ওই ৮টি কপ্টার নিয়েই  প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গড়ে তোলা হচ্ছে। 

এর আগেও ২০১৫ সালে কামান, গোলাবারুদ, যুদ্ধের প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ পরিবহণের জন্য বোয়িংকেই ১৫টি চিনুক সিএইচ-৪৭এফ(আই) হেলিকপ্টারের বরাত দেয় ভারত। এখনও পর্যন্ত চারটি চিনুক কপ্টার হাতে পেয়েছে বায়ুসেনা। গত ২৫ মার্চ চণ্ডীগড়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেগুলিকে বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এত দিন যদিও রসদ সরবরাহ করতে সোভিয়েত প্রযুক্তিতে তৈরি এমআই-২৬ কপ্টারই ব্যবহার করা হত।

অ্যাপাচে ও চিনুক হেলিকপ্টার হাতে পাওয়ার পর নিঃসন্দেহে বায়ুসেনার শক্তি অনেকগুণ বেড়ে যাবে। রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তির মত এই চুক্তিটিও বিতর্কিত ছিল। প্রতিরক্ষা-সহ কোন খাতে সরকার কত খরচ করছে, সেই হিসাব রাখে যে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি), গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি রিপোর্ট জমা দেয় তারা। তাতে বলা হয়, কাউকে না জানিয়ে বোয়িং সংস্থার পরামর্শে অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের সরঞ্জামে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, বায়ুসেনার চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। 

 

 


Find out more: